নারীর অভিযোগ, স্বজনদের পরিকল্পনায় ধর্ষণের শিকার তিনি

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২২, ১৭:১৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাগেরহাটে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (৩৫)। তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রবিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।

 

ভোক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বজনরা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।’

 

এদিকে সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান ও মহিলা পরিষদ হাসপাতালে ভর্তি ওই নারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

 

ওই নারী হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাত এগারোটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একজন তার মুখ চেপে ধরে। পরে আরেকজন গামছা দিয়ে মুখ ও ওড়না দিয়ে দুই হাত বেঁধে বাড়ির পেছনে সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণ করে।’

 

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘এই নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি আমার মায়ের সৎ বোনের ছেলে। সম্পর্কে আমার মামা। আমাকে নানার বাড়ির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সাইফুল ইসলাম তার সহযোগীদের নিয়ে আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।’

 

‘স্বামী ছেড়ে যাওয়ায় তিনি পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে তিনি নানার বাড়িতে বসবাস করছেন’ বলেও জানান তিনি।

 

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. জিনিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই নারী এখন সুস্থ রয়েছেন। তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।’ 

 

বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উন্নয়নকর্মী রিজিয়া পারভীন বলেন, ‘নারীর ওপর অমানুসিক নির্যাতনের খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে খোঁজখবর নিয়েছি। এই ঘটনার জন্য আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

 

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান বলেন, ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে ভিকটিমের খোঁজ খবর নিয়েছি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ভুক্তভোগী এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।’

 

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসএম)