চট্টগ্রামের মেয়র ছাত্রলীগের ‘সমস্য’, ‘সাংগঠিন’ সম্পাদক ছিলেন, বলছে সিসিসির ওয়েবসাইট

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২২, ১৫:৪১ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২, ১৯:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ‘সমস্য’ ছিলেন! চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইট বলেছে, বর্তমান মেয়র উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ‘সাংগঠিন’ সম্পাদকও ছিলেন।

এমনই ভুলে ভরা জীবনবৃত্তান্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের। আর খোদ তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে মেয়রেরই নেতৃত্বাধীন সিটি করপোরেশন। এই দুটি ভুলই শুধু নয়, মেয়রের পরিচিতিতে রয়েছে আরও একাধিক বানান ভুলসহ বাক্যে অসংগতি। যেমন ‘অধ্যয়নকালীন’ লেখা হয়েছে ‘অধ্যায়নকালীন’।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে প্রতিটি সরকারি অফিসের জন্য তৈরি করা হয় ২৪ হাজার ওয়েবসাইট। সরকারি সব কার্যক্রম সম্পর্কে সার্বক্ষণিক আপডেট থাকা এবং জনসাধারণকেও তাৎক্ষণিকভাবে হালনাগাদ কাঙ্ক্ষিত তথ্য দেওয়ার লক্ষ্যে এসব ওয়েবসাইট সাজানো হয়েছে।

তবে প্রায় সময় সরকারি অধিকাংশ ওয়েবসাইটেই ভুল তথ্যের পাশাপাশি ভুল বানান আর বাক্যের অসংগতি ধরা পড়ে। ওয়েবসাইট হালনাগাদ না করার অভিযোগও রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়েবসাইট দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও সতর্ক থাকা দরকার। সরকারি ওয়েবসাইটে বানান ভুল ভাষা শৃঙ্খলার পরিপন্থি এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।

সরকারি ওয়েবসাইটে বানান ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শুধু সরকারি ওয়েবসাইট বলেই কথা নয়, আমাদের আসলে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসাই নেই। আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি এলে আবেগে গদগদ হই, বাইশ তারিখ থেকে সব ভুলে যাই।’

‘মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা থাকলে আমরা বানানেও সতর্ক থাকতাম। দুঃখজনকভাবে আমরা ইংরেজিতে ভুল করলে লজ্জা পাই, নিজের ভাষাতে ভুল করলে তা স্বাভাবিক ধরে নিই। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মাতৃভাষার ব্যবহারে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে’—যোগ করেন বিশিষ্ট এ প্রাবন্ধিক ও গবেষক।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল কালাম চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আর এগুলো তো আমি দেখি না। এটা আইটি ডিপার্টমেন্ট দেখে। তবে বিষয়টি বুঝছি আমি। আমি বলব এটা দ্রুত ঠিক করতে।’

এদিকে ভুলের বিষয়টি অস্বীকার করেন আইটি সেলের প্রধান মোহাম্মদ ইকবাল হাসান। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, 'কে বলেছে এমন ভুল আছে? আগে ছিল, এখন ঠিক করা হয়েছে।'

পরে তাকে বিষয়টি যাচাই করতে বলা হলে তিনি বলেন, 'ভুলই নেই, ঠিক করব কী?’  

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/ডিএম)