১১ টাকার এন্টাজল নাসাল ড্রপস ৩৫ টাকায় বিক্রি!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের আমিন ফার্মেসির বিরুদ্ধে ১১ টাকার এন্টাজল নাসাল ড্রপস ৩৫ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর তার মায়ের জন্য আমিন ফার্মেসিতে এন্টাজল নাসাল ড্রপস কিনতে গেলে তার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার এ অভিযোগ করেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর বলেন, আমার মা মোছা. মাবিয়া খাতুনের ঠান্ডা জনিত কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের আমিন ফার্মেসিতে যান এন্টাজল ১৫ এমএল নাসাল ড্রপস কিনতে। ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর অভিযোগ করে বলেন, স্কয়ার ওষুধ কোম্পানির এন্টাজল নাসাল ড্রপস’র মূল্য লেখা আছে ১১ টাকা ৫৫ পয়সা। আমিন ফার্মেসির লোকজন তার কাছ থেকে এন্টাজল নাসাল ড্রপস’র দাম নেন ৩৫ টাকা। অন্তর ফার্মেসির লোকজনের কাছে দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলে বর্তমানে ওষুধের দাম বেশি। সে কারণে তার কাছ থেকে বেশি নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমিন ফার্মেসির মালিক জেডএম রওশন আমিন রতন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে অনেক ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আমাদের ফার্মেসি মালিক অ্যাসোসিয়েশন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী এন্টাজল নাসাল ড্রপস আমরা ২০ টাকায় বিক্রি করছি। অতিরিক্ত দামে কেন বিক্রি করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে এবং পরবর্তীতে এ ধরনের ভুল আর হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল হক লাভলু বলেন, ওষুধের গায়ে যে দাম লেখা আছে ওই দামেই বিক্রি করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো ফার্মেসিতে ওষুধের মূল্য নির্ধারণের কোনো তালিকা দিতে পারি না। কোনো ফার্মেসির মালিক যদি এ ধরনের কথা বলে থাকে তাহলে তিনি ভুল বলেছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত দাম নেয়া অবশ্যই অপরাধ। পণ্যের গায়ে যে দাম লেখা থাকবে সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১ আগস্ট/এআর)