আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক মারধরের মূল আসামি জাপান মোল্লা ঢাকায় গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি জাপান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রধান অভিযুক্ত জাপান মোল্লাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকাটাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন জাপান মোল্লা ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্থানীয় থানায় মামলা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ পারুল বেগম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে মারধরের শিকার হন সাংবাদিক মুজাহিদ। জাপান মোল্লা ও তার চার-পাঁচজন সহযোগী এতে অংশ নেন। তারা মুজাহিদকে লোহার রড, স্ট্যাম্প, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে পেটায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মুজাহিদকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। এতে বেশ কজন আহত হন।

সূত্র আরও জানায়, আলফাডাঙ্গার রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে টিকেট কিনতে যান রমিজ নামের এক যুবক। তিনি ঢাকার একটি টিকেটের দাম পরিশোধ করে বাসে ওঠেন। বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে বলা হয় রমিজ টিকিটের টাকা দেননি। তাই তাকে ঢাকায় যেতে দেওয়া হবে না।

বিষয়টি জানিয়ে নাঈমের সহযোগিতা চান রমিজ। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলতেই সাংবাদিক মুজাহিদের ওপর চড়াও হয় কাউন্টারের ম্যানেজার জাপান ও তার সহযোগীরা। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মুজাহিদকে বেধড়ক পেটানো হয়।

আহত মুজাহিদকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকি’সা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/মোআ)