পাচারকালে কোটি টাকা সমমূল্যের ডলার জব্দ, সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৩

চুয়াডাঙ্গার ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে উদ্ধার হয়েছে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে বিপুল এই বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

বিজিবি বলছে, এসব ডলার কারা কেন পাচার করছিল এবং কোথায় কাদের কাছে যাচ্ছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে। পাচার ঠেকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে সীমান্ত অপরাধ দমনে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।

ডলার উদ্ধারের পর বুধবার বিকালে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিশেষ চোরাচালানী মালামাল পাচার করা হচ্ছে বলে তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন। এই সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় ফুলবাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আহসান কবির এবং টহল কমান্ডার নায়েক মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ৮৫ হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে বিজিবির টহলদল এক ব্যক্তিকে একটি ব্যাগ বহন করে নিয়ে যেতে দেখে। টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি ব্যাগসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া করে বিজিবিও। পরবর্তীতে ওই চোরাকারবারী ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ব্যাগটি দূরে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যায়। বিজিবি টহলদলের একটি অংশ চোরাকারবারীকে ধাওয়া করে এবং আরেকটি দল ফেলে যাওয়া ব্যাগটি জব্দ করে। পরে তল্লাশি করে ব্যাগের ভেতরে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় আটটি প্যাকেট উদ্ধার করে। প্রতিটি প্যাকেটের ভেতরে ১০০ ইউএস ডলারের ১০০টি নোট পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রতিটি প্যাকেটে থাকা বান্ডেলে ১০ হাজার ইউএস ডলার ছিল। সবমিলিয়ে আটটি বান্ডেল থেকে বিজিবি ৮০ হাজার ইউএস ডলার জব্দ করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের ব্যাংকের বুধবারের তথ্য অনুয়ায়ী, প্রতি ডলার ৯৪ দশমিক ৭ টাকা হারে ৮০ হাজার ডলারের মূল্য দাঁড়ায় ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। যদিও খোলাবাজারে ওই দিন ডলার বিক্রি হচ্ছিল ১০৭ টাকা করে। সে হিসাবে এসব ডলারের মূল্য ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বিজিবি জানায়, এ বিষয়ে দর্শনা থানায় মামলা করা হয়েছে। আর জব্দকৃত ইউএস ডলারগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে যায়। এতে দেশে ডলারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তবে রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের সংকট মিটছে না। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম। এ জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারের তেজিভাব।

(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :