ডিএনএতে মেলেনি ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর পিতৃ পরিচয়, শুনানি রবিবার

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২২, ২০:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২১ বছর বয়সী এক তরুণের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরবর্তীতে আদালতে ওই তরুণ কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেন। এরই মধ্যে কিশোরী জন্ম দেয় এক পুত্র সন্তানের। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন বলছে অভিযুক্ত তরুণ কিশোরীর পুত্র সন্তানের জৈবিক পিতা নন।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। আগামী রবিবার (৭ আগস্ট) এ শুনানি হতে পারে বলে উচ্চ আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মামলাটি এখন বিচারাধীন। অভিযুক্ত তরুণ জেল খাটছেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদনে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে প্রয়োজনে বিয়ে করবেন বলেও জানান।

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারিসহ আদেশ দেন।

পরবর্তীতে ওই তরুণের তদবিরকারকরা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের শর্তে ওই তরুণের জামিন নিতেও রাজি হন। কিন্তু ওই তরুণ আবার বেঁকে বসেন। তরুণীর গর্ভের সন্তানকে নিজের বলে মেনে নিতে রাজি হননি। এই ঝামেলায় তাদের আর বিয়েও হয়নি। এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।

পরবর্তীতে সন্তানের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিযুক্ত তরুণের আবেদনের প্রেক্ষিতে করা হয় ডিএনএ টেস্ট। সিআইডি ইতিমধ্যে ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। ডিএনএ রিপোর্টে দেখা যায়, ধর্ষণের দায় স্বীকারকারী ওই তরুণ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পুত্রসন্তানের জৈবিক পিতা নন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই শিশুর জৈবিক পিতা কে?

গত ২৬ জুলাই হাইকোর্টে এই ডিএনএ টেস্টের ফলাফল তুলে ধরে ওই তরুণের জামিন আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট শিশুর পিতৃপরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে (মৌখিক) নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/এমএইচ/কেএম)