কাঁচা মরিচের দামে আগুন, বেড়েছে মুরগিরও

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২২, ১৪:০০ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২২, ১৫:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম আরও বেড়েছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রান্নার এ উপাদানটি। মরিচের এই দাম চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মরিচের পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। কেজি প্রতি ১০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া মাছ-সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।

শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখো গেছে, কারওয়ান বাজার, পূর্ব রাজাবাজার কাঁচাবাজার, ফার্মগেট, হাতিরপুল বাজার, রামপুরা বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিলো ২০০ টাকা। সাত দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো। তবে আজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি বা পাকিস্তানি কক কেজি প্রতি ছিল ২৬০-২৮০ টাকা। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৮৫ থেকে ৩০০ টাকা।

এদিকে, ধুন্দল কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বরবটি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা,  মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬৫ থেকে ৮৫ টাকা, টমেটো কেজি প্রতি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, বাজারে প্রতিকেজি পটল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শসা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা, প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, আকারভেদে প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। 

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। প্রতিকেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা।

এদিকে, শল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি তেলাপিয়া ও পাঙাশ, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছের কেজি ৩২০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা। ঈদের পর এসব মাছের দামে তেমন পরিবর্তন না আসার কথা বলেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলীম উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি নিজেই অবাকা হয়ে গেছি। প্রতিদিন কাঁচামরিচের দাম বেড়েই চলছে। পাইকারি যারা বিক্রি করে তারাই বৈলতে পাড়ছে না কেন এত দাম কাঁচামরিচের।

সবজি বিক্রেতা ফরিদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাঁচা মরিচের খেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমেছে। তবে আমি আসা করি দ্রুতই কাঁচামরিচের দাম কমে যাবে।

মুরগি বিক্রেতা আলম মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। মুরগির দাম সিমিত ছিলো কোরবানির ঈদের মাংসের জন্য। কিন্তু এখন আবার মুরগির দাম বাড়তি।

সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা চাই কম দামে বিক্রি করতে। কিন্তু আমারাই তো বেশি দামে কিনে আনি। বেশি দামে কিনে আনলে তো আর কম দামে বিক্রি করা যায় না। তবে শীতের মৌসুমে সবজির দাম কমবে বলে মনে করি।

(ঢাকাটাইমস/০৫ আগস্ট/পিআর/ইএস)