শেখ কামাল যুব রাজনীতির জন্য অনুকরণীয়: হানিফ

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২২, ২০:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আর্দশ গুণাবলী যুব রাজনীতির নেতৃত্বের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হানিফ। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ কামাল ২৬ বছর বয়সে বহুমাত্রিক প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। রণাঙ্গনের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। এর পাশাপাশি তার শিষ্টাচারও ছিল অনুকরণীয়। শেখ কামালের আচরণ, শিষ্টাচার অনুসরণ করে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে। তার শিষ্টাচার ধারণ করতে পারলে সৃষ্টিশীল মননের সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

হানিফ বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে একজন। তিনি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির পুত্র হলেও কখনো ক্ষমতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তারুণ্যের অহংকার শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী, অমায়িক ও নিরহংকারী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক মন্তব্য করে হানিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলপ্রেমী। শেখ কামাল একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেছিলে। আবাহনী প্রতিষ্ঠার পর ক্রীড়াঙ্গনে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছিল। দেশে ফুটবলের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।

হানিফ বলেন, দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবক্ষয় দেখলে শেখ কামালের কথা মনে পড়ে। একসময় গ্রামে-গঞ্জে জারি-সারি, পালা, নাটক হয়তো আজ তা হারিয়ে গেছে। সংস্কৃতি মানুষের জীবনকে বিকশিত করার জন্য ভূমিকা রাখে। শেখ কামাল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য হাজার বছরের সংস্কৃতি তুলে ধরতে থিয়েটার গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্পন্দন নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শেখ কামাল।

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ কামাল রাষ্ট্র প্রধানের সন্তান ছিলেন কিন্তু পদ-পদবীতে তার আগ্রহ ছিল না। তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে চেয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত  ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/কেএম)