অবশেষে সেই জুটি ভাঙলেন মোসাদ্দেক
বাংলাদেশের দেয়া ৩০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভয়ংকর হয়ে উঠেন সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কায়া। দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। অবশেষে সেই জুটি ভাঙলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে।
১১৫ রানে রাজা ও শূন্যরানে লুক জংউই অপরাজিত রয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন দলনেতা ও ওপেনার রেগিস চাকাভা। শরিফুল ইসলামের করা পরের ওভারে ৪ রানে আউট হয়েছেন তারিসাই মুসাকান্দা। আর রান আউট হওয়ার আগে ১৯ রান করেন ওয়েস্লি ম্যাধভের।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন রয় কায়া ও সিকান্দার রাজা। দুজন মিলে তুলে নিয়েছেন ১৮০ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি। দুজনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত শতক রানের ইনিং।
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ দল। ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৯ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ ৬৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল।
তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরেই নিজের ফিফটি পূর্ণ করেছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পেশিতে টান পড়ে লিটনের। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। ৮৯ বলে ৮১ রান করেন লিটন।
এরপর বিজয়-মুশফিক মিলে জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন করে যান। এ সময় দজন মিলে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। দীর্ঘ তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পান এনামুল হক বিজয়। ভিক্টর নিয়ুচির বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ৬২ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৭৪ রান।
পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে যান উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। আর রিয়াদ মাঠ ছাড়েন ব্যক্তিগত ২৫ রানে।