বহুমুখী প্রতিভার সৃজনশীল মানুষ ছিলেন শেখ কামাল: উপাচার্য মশিউর

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২২, ২৩:২৪

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার সৃজনশীল মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, শেখ কামাল বহু প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আমরা জানি, তাঁর বিচরণ ছিল সংস্কৃতি এবং ক্রীড়ায়। ২৬ বছরের এই তরুণ যাকে ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল। একই সময়ে সপরিবারে জাতির জনককেও হত্যা করা হয়।’ শুক্রবার (৫ আগস্ট) শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন ও শেখ কামাল’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সম্মানিত আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘১৫ আগস্টে সর্বপ্রথম আঘাত আসে শেখ কামালের ওপর। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আগে এবং পরে যে পরিমাণে অপপ্রচার করা হয়েছিল, সেগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের মানস চিন্তা থেকে বিস্মৃত করা। এটি ছিল পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হলো ঠিক উল্টো। শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুর যে প্রস্থান ঘটেছে, তার পরবর্তী ইতিহাস হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পুনর্জাগরণ ঘটেছে বারবার। বরং বঙ্গবন্ধু আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন নব নব ধারায়। যে মানুষ ক্যারিশমেটিক লিডার হিসেবে শোষিতের পক্ষে দাঁড়ায়। শেখ কামাল সেই চেতনাই পেয়েছেন। তিনি শুধু ক্রীড়ামোদী, সাংস্কৃতিক মানুষ ছিলেন সেটি নয়, শেখ কামালের হৃদয়ে ছিল জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন-ধর্মনিরপেক্ষতা। তিনি একজন সমাজসচেতন মানুষ ছিলেন। সমাজ পরিবর্তনের জন্য একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেছেন শেখ কামাল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন সহজ-সরল।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ইতিহাস চর্চার জায়গায় যখন আমরা ফিরে আসি, তখন দেখি বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারের এক সাদামাটা জীবন। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি বাঙালিকে দিয়েছেন উদার হস্তে। কিন্তু কেউ বঞ্চিত হয়ে থাকলে সেটি তাঁর সন্তানেরা। সন্তানের মুখশ্রী ভুলে গিয়ে কারাগারে বসে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকার মহানায়ক তো তিনিই। শুধু তাই নয়, তাঁর সন্তানেরা এদেশে যে পরিমাণ মিথ্যা প্রচারণার শিকার হয়েছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে আসার পর যে পরিমাণ অসত্য প্রচারণার সম্মুখীন হয়েছেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছেন- এর মানে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার এবং তাঁর রক্তকে বারবার হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের শপথ নেয়ার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার যারা বেঁচে আছেন, তাদের সুরক্ষা হওয়া উচিত বাংলাদেশের পবিত্র শপথ- আজকের দিনে এই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।’

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আলোচক ছিলেন- ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শেখ কামালের সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু তওরিদ হুসাইন বাদল। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। -বিজ্ঞপ্তি

(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/কেএম)