বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ২১ আগস্ট হামলার মাস্টারমাইন্ড একই: কাদের
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড যারা, তারাই আবার ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করেছিল।
তিনি বলেন, পলাশীর মির্জাফর আলী খানের জায়গায় খন্দকার মোশতাক আর সোনাপতি ইয়ার লতিফ, রায় দুর্লভের জায়গায় জিয়াউর রহমান।
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘প্রেরণাদায়িনী মা' শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আজ একটা প্রশ্ন করবো, আগস্ট এলে এ প্রশ্ন অনেক বার করেছি জবাব পাইনি। ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান যদি জড়িত না থাকতেন, খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিলো?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পলাশীর মির্জাফর আলী খানের জায়গায় খন্দকার মোশতাক। সোনাপতি ইয়ার লতিফ, রায় দুর্লভের জায়গায় জিয়াউর রহমান। বিশ্বাসঘাতকতার রক্ত ছুঁড়েছে ৭৫' এ। তারপর কেনো খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো। এ প্রশ্নের জবাব বিএনপি কোনো দিনও দিতে পারবেন না। খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অডিয়েন্সকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল তাদের নেতা জিয়াউর রহমান।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাঝে মাঝে ভাবি পঁচাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে কিভাবে কর্ম-সম্পর্ক রাখবো, রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরা কারা? এরা তাদেরই রাজনীতি করে, যাদের রাজনীতি ছিল হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বন্দুকের নল থেকে যাদের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড, তারাই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করে। কিভাবে এদের সঙ্গে রাজনীতি করবো। কর্ম সম্পর্কের দেয়াল তো তারাই তুলেছে।
কাদের বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন নয়, তিনি ছিলেন সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। নীরবে রাজনৈতিক সহকর্মী, নীরবে রাজনীতির সহযোদ্ধা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের তিন পুত্র। তারা ভবিষ্যতে রাজনীতি করবে, এ কারণেই তাদের হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু আমি জানতে চাই, বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি। এ অবলা নারী কেনো হত্যাকাণ্ডের শিকার। নয় বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেল কেনো হত্যাকাণ্ডের শিকার। কী অপরাধ তাদের?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা। আরও ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান।
(ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/জাআ/কেএম)