জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কতটুকু যৌক্তিক?

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৫ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২২, ২৩:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে অনেকটাই বাড়াল সরকার। শুক্রবার দিবাগত রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর থেকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ববাজারে দামের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ থেকে ১১৪ টাকা; অকটেন ৮৯ থেকে ১৩৫ আর পেট্রোল ৮৬ থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।

জানা গেছে, গেল ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলার থেকে ১৩৯ ডলার ছাড়িয়ে যায়। আর মার্চে তা বেড়ে ১৫৬ দশমিক ৩ ডলারে পৌঁছায়। এই মূল্যবৃদ্ধি ছিল গেল ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আন্তর্জাতিক বাজরে দাম বাড়লেও এতদিন দেশের বাজারে বাড়ানো হয়নি।

বিপিসি সূত্র বলছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জ্বালানি তেলে লোকসান হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর ফলশ্রুতিতে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দাম সমন্বয় করা ছিল অপরিহার্য। তাছাড়া প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কম হওয়ায় পাচারের আশঙ্কাও ছিল।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, গত ২০ বছরে ১৭ বার ডিজেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। দাম বেড়েছে ১৩ বার আর কমানো হয়েছে ৪ বার। সবশেষ ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম কমানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের।

বর্তমানে প্রতিবেশিসহ কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারতে ডিজেল (টাকার অংকে) ১১০ দশমিক ৯৫, অকটেন ১৩৫; চীনে ডিজেল ১১৮ দশমিক ৬৩, অকটেন ১৩১ দশমিক ৯৯; নেপাল ১২৭ দশমিক ৮২, অকটেন ১৩৪ দশমিক ৫৫; পাকিস্তানে ডিজেল ১০৩ দশমিক ৭১, অকটেন ১০৬ দশমিক ৬৪; সিঙ্গাপুরে ডিজেল ১৮৯ দশমিক ৮৭, অকটেন ১৯০ দশমিক ৪৫ এবং হংকংয়ে ডিজেল ২৬০ দশমিক ৭৫ ও অকটেন ২৮৪ দশমিক ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/ডিএম)