৪৫ বছর ধরে শরীরে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন ভাই-বোন

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
| আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২২, ২০:০৪ | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১০:২৩

স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ছেলে পিন্টু মিয়া ও তার কয়েক বছর পর মেয়ে নাসরিন আক্তারের জন্ম হয় কৃষক সমেজ উদ্দিন ও সাহেদা বেগম দম্পতির ঘরে। জন্মের পাঁচ বছর বয়স থেকে গলায় সমস্যা দেখা দেয় তাদের। বয়স বাড়ার সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে। চিকিৎসার অভাবে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে শরীরে বয়ে বেড়ানো কষ্ট এখন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।

প্রাথমিকভাবে তাদের দেখে চিকিৎসকরা বলছেন, থাইরয়েড বা গলগণ্ড রোগ থেকে এ সমস্যা হয়েছে। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় রোগটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

দুই ভাই-বোনের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পূর্বপাড়া গ্রামে। সন্তানদের অসহায়ত্বে দিশেহারা বৃদ্ধ বাবা ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘অর্থের অভাবে অনেক আগেই দুই সন্তানের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। ছেলের গলার সমস্যার সঙ্গে এখন চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যথার যন্ত্রণায় প্রতিদিন কাঁদেন ছেলে পিন্টু।’

তিনি জানান, ‘জীবনের শুরুতে টাঙ্গাইলের আকুয়ার চরে থাকা তাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে পাকুল্যা এলাকায় এসে বসতি গড়েন। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আরেক ছেলের আলাদা সংসার। বয়স বাড়ায় এখন আর কাজ করতে পারেন না। স্বামী-স্ত্রী দুজনে প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। তার দিনমজুরির টাকায় খেয়ে না খেয়ে এখন তাদের সংসার চলে।’

মা সাহেদা বেগম জানান, শুরুতে তাদের গলা রক্তবর্ণ থাকতো। পরে হোমিও চিকিৎসা করার পর দিন দিন গলায় শক্ত দলাকৃতি হয়ে যায়। পরে আস্তে আস্তে এটি বড় হতে থাকে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় তাদের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হয়ে গেল। এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে থাইরয়েড বা গলগণ্ড রোগ থেকে এ সমস্যা হয়েছে। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নাক কান গলা, এন্ডোক্রাইনোলজিস, মেডিসিন ও সার্জারি সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করাতে হবে। তাদের বেশকিছু পরীক্ষা করাতে হবে। এসব চিকিৎসা ব্যয়বহুল হলেও দেশে সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা করা যেতে পারে।’

চিকিৎসা সহায়তায় অর্থ পাঠাতে- তাদের বৃদ্ধ বাবার বিকাশ নম্বর; ০১৯৮৩০৭৪৯৭৩।

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এলএ/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

কথায় কথায় মানুষ পেটানো এডিসি হারুন কোথায়? থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের তদন্ত কোথায় আটকে গেল?

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :