উচ্ছেদ অভিযানে সমালোচনার মুখে সালথার ইউএনও

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩৮ | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১২:৩২

ফরিদপুরের সালথা বাজারে সরকারি জমিতে একাধিক দোকান ও স্থাপনা রয়েছে। কয়েক যুগ ধরে নির্মিত এসব স্থাপনায় ব্যবসা করে আসছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে শনিবার বিকালে হাইস্কুল সড়কের পাশে একটি দোকান উচ্ছেদ করেন উপজেলা প্রশাসন।

উচ্ছেদের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সমালোচকদের প্রশ্ন- এত স্থাপনের মধ্যে কেন একটি দোকান চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জানা গেছে- শনিবার বিকাল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সালথা বাজারের হাইস্কুল সড়ক সংলগ্ন একটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আকতার। অভিযান চলাকালে সার্ভেয়ার, তহশিলদার ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদ হওয়া দোকান ঘরের মালিক মো. জাফর মুন্সী অভিযোগ করে বলেন, এটা আমার কেনা সম্পত্তি। আমার কাছে দলিল রয়েছে। এই সম্পত্তির মিউটিশনও করা আমার নামে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস আগে দোকানটি স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ভাড়া নিতে চেয়েছিল। তাকে দোকান ভাড়া না দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতা খাটিয়ে আমার দোকানটি ভাঙার ব্যবস্থা করেছে। আমার সারা জীবনের কষ্টে অর্জিত সম্পদ ছিল এই দোকানটি। আমি এ বিষয়ে মামলা করবো।

এদিকে সালথা বাজারে সরকারি জায়গায় থাকা একাধিক স্থাপনার মধ্যে একটি দোকান উচ্ছেদ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করেছেন অনেকে।

এ ঘটনায় সমালোচনা করে সিনিয়র সাংবাদিক প্রবির শিকদার তার ফেসবুক পেজে লিখেন, গদ্য কার্টুন, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হোক সালথা উপজেলা প্রশাসনকে। ফরিদপুরের সালথায় স্কুল রোডের পাশে সরকারি জায়গায় অনেক অবৈধ দোকান ঘরের মধ্যে জাফর মুন্সীর একটি দোকান ঘর চিহ্নিত করে সেটি ভেঙে ফেলার কাজ করায় সালথা উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও সালথা বাজারে দোকান মালিক ইমারত হোসেন পিকুল তার ফেসবুক পেজে লিখেন, একটি অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করে ব্যক্তিগত বিরোধ প্রমাণিত হবে। সকল অবৈধ ঘর উচ্ছেদ হলে সালথাবাসীর প্রশংসা পাবেন।

যুবলীগ নেতা বাকি বিল্লাহ লিখেন, আমার প্রশ্ন, সালথা বাজারে প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান আছে, এগুলো কি উচ্ছেদ করা হবে?

সালথা বাজারের ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সালথা বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনার অভাব নেই। একটি দোকানে কেন চোখ পড়লো। ভাঙলে তো সবই ভাঙার কথা।

এ বিষয়ে ইউএনও তাছলিমা আকতার বলেন, ম্যাপ দেখে সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে দেখা গেছে সরকারি হালটে ঘর নির্মাণের ফলে বাজারে চলাফেরা করতে মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। পর্যায়ক্রমে বেদখল হওয়া সব সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :