জনবহুল রাষ্ট্রে এত ভর্তুকি সম্ভব নয়, এটাই বাস্তবতা
প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৬
আন্তর্জাতিক বাজারের সমন্বয় করে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেলে সরকার ভর্তুকিই দিয়ে আসছিল। গাড়ি চালাবো আমরা আর সরকার দেবে ভর্তুকি! সরকার কেন ভর্তুকি দেবে?
দাম বাড়লে সবাই খালি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন কিন্তু কমলে তো দেন না। যারা তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এত স্ট্যাটাস, এত কথা বলছেন—আপনাদের পকেটের টাকা যাবে বলেই তো এত কথা বলছেন। তাহলে সরকার যে এতদিন ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে তা কিছু নয়? তা কি আপনাদের চোখেও পড়ে না। মানে দাড়াল সরকার ভর্তুকি দিতে পারলেই ‘ভালো’!
শুধু আমাদের দেশে নয় সবদেশেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্য বাড়াও স্বাভাবিক। আমাদের দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ তিন বেলা খাবার খায়। একদিনে এতে দাঁড়ায় প্রায় ৫১ কোটি মানুষ ১ দিনে খায়। আর এক মাসে এতে দাঁড়ায় প্রায় ১৫,৩০০,০০০,০০০ কোটি মানুষ খাবার খায়।
আমরা খাদ্য শস্য উৎপাদনের চেয়ে আমদানি নির্ভর। আমাদের দেশে একটি সিগারেট ১৬ টাকা হওয়া সত্বেও একদিনে কোটি কোটি টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। তাই অহেতুক টাকার অপচয় না করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আসুন উৎপাদনমুখি হই। আমাদের মনে রাখতে হবে—বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি রাষ্ট্রে সরকারের পক্ষে এত ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এটাই বাস্তবতা।
লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, চকবাজার থানা ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ