রিয়েল এস্টেট ব্যবসার আড়ালে প্রতারণা, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
রিয়েল এস্টেট ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এম আলী নাজির শাহিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
আজ রবিবার দুপুরে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নোমান আহমদ ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ডিওএইচএস ব্যবসার আড়ালে নাজির শাহিন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে মামলা করা হয়।
মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এম আলী নাজির শাহিনকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে রায়ে ৪১ লাখ ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
পলাতক নাজির শাহীনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকেন নাজির শাহীন।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে র্যাব-১ এর একটি দল কাফরুল থানার ইব্রাহীমপুর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ রোডের একটি বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে এম আলী নাজির শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাজির শাহিনের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তিনি চট্টগ্রাম ডিওএইচএসের ব্যবসার আড়ালে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
অ্যামাজিং হাউজিং লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রতারণামূলকভাবে দুই থেকে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নোমান আহমদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম সেনানিবাস তার প্রতারণার বিষয় জানতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সেনানিবাস এলাকায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
গ্রেপ্তারকৃত নাজির শাহিন চট্টগ্রাম জেলার বায়োজিদ বোস্তামি থানার ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির ২৪ নম্বর বাসার মৃত আব্দুল মজিদ নাজিরের ছেলে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এএ/মোআ)