বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট হোতা আমিন গ্রেপ্তার! নাকি নজরদারিতে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ২১:৩৩ | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৯:১০

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কেন? ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস বা এফডব্লিউসিএমএসের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের অনুমোদন হয়। মালয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানকে আইটি সেবা প্রদান করে বেস্টিনেট নামে একটি কোম্পানি।

বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বেস্টিনেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আমিন আব্দুল নূর মালয়েশিয়ার অ্যান্টি করাপশন কমিশন—এমএসিসির হাতে গ্রেপ্তার! যদিও ঢাকা টাইমস তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেটের পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়নি বলে মালয়েশিয়ার কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

এদিকে আমিন আব্দুল নূর গ্রেপ্তার নাকি এমএসিসির নজরদারিতে তা নিয়ে খোদ কুয়ালালামপুরে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। অসমর্থিত একাধিক সূত্রে ঢাকা টাইমস জানতে পেরেছে, বেস্টিনেট সিইও আমিন আব্দুল নূর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে এজেন্সি সিন্ডিকেটের মূলহোতা আমিন। কুয়ালালামপুর ও ঢাকায় সিন্ডিকেটটি তার নিয়ন্ত্রণেই কাজ করে। বাংলাদেশি হলেও কুয়ালালামপুরেও তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কুয়ালালামপুরের পাশাপাশি ঢাকার বনানীতেও অফিস আছে আমিনের প্রতিষ্ঠানের।

আরও অভিযোগ উঠেছে, গত মে মাস থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬১টি আবেদন প্রক্রিয়া করেছে বেস্টিনেট। আর প্রতি শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশি টাকায় ১৭ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা ‘ঘুষ’ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে।

বেস্টিনেটের কার্যালয়ে এমএসিসির অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম বলছে, এফডব্লিউসিএমএস একটি বিতর্কিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সিস্টেম। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দুর্নীতি করে সিন্ডিকেটের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এই সিস্টেমের ‘অনুঘটক’ হিসেবে কাজ করে মাহাথির সরকার কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত এসপিপিএ ও বেস্টিনেট মালিক মোহাম্মদ আমিন।

বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য এই সিস্টেম দিয়েই কাজ করত বেস্টিনেট। আর ‘ঘুষ’ নিয়ে কোটা অর্জনে নিয়োগকর্তা বা এজেন্টদের সহযোগিতা করত। এই অভিযোগে দফায় দফায় এমএসিসি বেস্টিনেটের কুয়ালালামপুরের অফিসে অভিযান চালায়। সবশেষ ৩ আগস্ট বেস্টিনেটের সিইও আমিন নূরসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, এফডব্লিউসিএমএসকে ব্যবহার করে আমিন নূর বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। শূন্য খরচের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমিনের বেস্টিনেট কোম্পানির এফডব্লিউসিএমএস আর এসপিপিএর ফাঁদে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে হয় অসহায় শ্রমিকদের।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি হলেও এখন পর্যন্ত কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি। কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া, খরচ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নির্ধারণে পেরিয়ে গেছে ৮ মাস।

কর্মী পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেড় হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তবে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কর্মী নিতে মাত্র ২৫টি এজেন্সিকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এজেন্সি নির্ধারণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগটিই তদন্ত করছে এমএসিসি।

এদিকে বিদেশি কর্মীদের নিতে অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুনভাবে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত যারা আবেদন করবেন, তাদের আবেদন ৩১ আগস্ট বা এর আগেই নিষ্পত্তি করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা ঢাকা টাইমসকে বলছেন, ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি কর্মী নিয়োগে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা এবং দুর্নীতির অভিযোগে ৮ জনের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে প্রক্রিয়ায় আরো সংকট তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফে আন্তরিক চেষ্টার পরও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সৃষ্ট সংকট সহসা কাটছে না বলেই তারা মনে করছেন। ফলে চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু করা সম্ভব হবে কি না তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার আমিনের সহযোগীরা বাংলাদেশে বসে নেই। মালয়েশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রমিক পাঠানো শুরু না হলেও কর্মী পাঠানোর নামে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিদেশগামীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশের দেড় হাজার রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা দেয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই ২৫টি এজেন্সিকে নির্বাচন করা হয়েছে। এই এজেন্সিগুলো থেকে অগ্রিম দুইকোটি টাকা নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেস্টিনেটের কর্ণধারসহ বাকিরা গ্রেপ্তারের ঘটনায় মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে প্রক্রিয়ায় আরো সংকট তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে আন্তরিক চেষ্টার পরও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সৃষ্ট সংকট সহসা কাটছে না বলেই তারা মনে করছেন। ফলে চলতি মাসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু করা সম্ভব হবে কি না তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সরকার এখন পর্যন্ত ১৪টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে। এসব এজেন্সি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএমইটিতে নিবন্ধিত শ্রমিকদের মধ্য থেকে দুই হাজার দুশ জনকে পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে। কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অংশের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। তবে কতগুলো এজেন্সিকে অনুমতি দেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়।

মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হবে কর্মীর বেশিরভাগ খরচ। তবে বাংলাদেশে কর্মীর কিছু খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে।

এরপরও এজেন্সিগুলো চার লাখ টাকার নিচে কোনো কর্মীকে নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে না। আর ভিসার আগেই একলাখ করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আবার মেডিকেলের নামে সাত থেকে দশ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।

তবে মন্ত্রণালয় এখনও মেডিকেল বাবদ কত নিতে পারবে এজেন্সিগুলো সেবিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এ রকম নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে ২৫ এজেন্সির অনেকেই।

অভিযোগ আছে, বিএমইটির নিব‌ন্ধিত কর্মী বাদে অনেকের কাছ থেকেই এজেন্সিগুলো টাকা নিচ্ছে। তবে বিএমইটি বলছে, নিবন্ধিত কর্মী ছাড়া কেউ মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবে না। কোনো এজেন্সি যদি অনিবন্ধিত কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মালয়েশিয়া ও ঢাকার সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনুমোদন পাওয়া ২৫টি এজেন্সির মধ্যে দেশটিতে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আমিন ও কেথার‌সিস ইন্টারন‌্যাশনালের কর্ণধার রুহুল আমিন স্বপনের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক এবং বিতর্কিত এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধরদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত চলছে। সেই প্রক্রিয়ায় কীভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো হবে?

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট—রামরুর অধ্যাপক সি আর আবরার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো শুরু থেকেই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই ছিল। এটা নিয়ে নানা রকম টেনশন ছিল। দেশে যেরকম বিতর্ক ছিল, একইরকম বিতর্ক ছিল মালয়েশিয়ায়। কারণ এটা নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ছিল।’

তিনি বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, অল্প কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে দিলে মাইগ্রেশন খরচ অনেক বেড়ে যায়। এখন সেটা যদি বন্ধ করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়া এই কাজ করে থাকে তাহলে ভালো। আমরা তো সঠিকটা জানি না, সম্পূর্ণ খবরও নেই। তবে এটা যে অপ্রত্যাশিত তা নয়। এটা নিয়ে অনেকদিনই লেখালেখি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক চলছিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘এজেন্সিগুলো যদি আগের মতোই সিন্ডিকেট করে অপরাধ করে, তাহলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা দরকার। এ দেশে তাদের সহযোগী যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। অতীতে কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার তাদের উচ্চপদস্থ লোকজনদের গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে করা হয়নি। আমরা তো সিন্ডিকেটের কথা শুনেই যাচ্ছি। তবে কোনোদিন সেগুলো দেখিনি। সিন্ডিকেট কবে থেকে শুরু হয়েছে, আমাদের সরকার তো এ ব্যাপারে চুপচাপ।’

‘‘সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড আমিন সেখানে গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু আমাদের এখানে তার সহযোগীরা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলেও অন্তত তদন্ত করা উচিত।’

অদক্ষ শ্রমিক আবেদনের সময় দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিদেশে কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বা সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, ‘অবশ্যই। দক্ষতা বিচার করে তারপর পাঠাতে হবে।’

নাম প্রকাশ না শর্তে বায়রার এক সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করা হচ্ছে বলে সিন্ডিকেটের দুই-একজন সদস্য বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। অথচ কেথার‌সিস ইন্টারন‌্যাশনালসহ তার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল মেডিকেল সেন্টারে সমানে কাজটি হচ্ছে। সরকারের চেয়েও কি এই সিন্ডিকেট হোতাদের হাত বড়?’

এসব বিষয়ে জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘স্যার মিটিংয়ে আছেন।’

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার সেক্রেটারি হেদায়েতুল ইসলামের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যস্ত আছি, পরে ফোন করেন।’ এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির একাধিক সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছে, চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ কর্মীদের চলতি সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় ফ্লাইট দেওয়ার সবরকম তোড়জোড় চলছে। সূত্রে ঢাকা টাইমসস জানতে পেরেছে অনেকটা সন্তোর্পণে বাংলাদেশ সিন্ডিকেটের প্রধাণ ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের ৫৩ জন কর্মীর একটি ফ্লাইট চলতি সপ্তাহে মালয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য ঠিক করা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে যেখানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফিসই ঠিক করা হয়নি সেখানে কর্মী নিয়োগ অনুমোদন দেয়া হলো কীভাবে? আর মালয়েশিয়া সরকার যেখানে কর্মী নেয়াগ পদ্ধতি নিয়ে দুর্নীতি, অনিয়মের কারণে তদন্ত করছে সেখানে বাংলাদেশের কর্মীদের ভবিষ্যৎ আদৌ সুরক্ষিত কি?

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এসএস/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :