দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও জিম্বাবুয়ের দুই সেঞ্চুরি

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২২, ২১:০০

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৯১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়েছিলো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও জোড়া সেঞ্চুরির মুখ দেখল জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ও রেগিস সেঞ্চুরিতে এখন জয়ের পথেই রয়েছে রোডেশীয়রা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২৫০ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে।

এখন ১০৬ রানে রাজা ও শূন্যরানে মুনওয়েঙ্গা অপরাজিত রয়েছেন।

রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ের ওপেনার কাইতানোকে শূন্যরানে ফেরান হাসান মাহমুদ। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে এবার আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কায়াকে ৭ রানে সাজঘরের পথ দেখান এই উদীয়মান পেসার। এদিকে ওয়েসলে ম্যাধভেরকে ২ রানে আউট করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৫ রানে আউট হন মারুমানি।

চাপে পড়া দলকে সামনে থেকে লিড দিচ্ছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ও দলনেতা রেগিস চাকাভা। দুজনই অর্ধশতককে শতকে রূপ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত দুজন মিলে তুলেন ২০১ রানের জুটি।

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুইয়ান দলনেতা রেগিস চাকাভা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন দলনেতা ও ওপেনার তামিম ইকবাল খান। ওপেনিং জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে করেন ৭১ রান।

৪৪ বলে ৫০ রান পূর্ণ করার পর চিভাঙ্গার করা বলে কাইতানোর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৪৫ বলে খেলা তার ৫০ রানের ইনিংসটি ১০টি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। এরপর ব্যক্তিগত ২০ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

তৃতীয় উইকেটে খেলতে আসা মুশফিকুর রহিম ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন। কিন্তু ওয়েসলে ম্যাধভেরের করা বলে মুনেয়োঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশি। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ রান। নাজমুল হাসান শান্ত কট বিহাইন্ড হয়েছেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর তাতেই বাড়তে থাকে দলীয় ইনিংস। এই দুই ব্যাটারই এগোচ্ছিলেন ফিফটির পথে। কিন্তু দুর্বল শটে ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন আফিফ। এছাড় তাসকিন ১, তাইজুল ৬ ও শরিফুল ১ রান করেন।

এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে। ৮৪ বলে খেলা তার এই অনবদ্য ইনিংসটি তিনটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো।

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এমএম)