৯২তম জন্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

বঙ্গবন্ধুর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গমাতার উৎসর্গিত মহৎ জীবনের অবদান

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান
| আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২২, ১২:৫১ | প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৪

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্টলেডি, বাংলাদেশের জাতির পিতা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী। বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুধু বঙ্গবন্ধুর জীবনে নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসেও বঙ্গমাতা অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে যত সাফল্য রয়েছে তার নেপথ্যের প্রধান শক্তি হলো বঙ্গবন্ধুর উৎসর্গিত আত্মত্যাগের মহৎ জীবনের অবদান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সাথে সাথে বঙ্গমাতার অবদানও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সব সময় সমর্থন দিয়েছেন। নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করেছেন। দেশের সংকটের সময় মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। জাতিসংঘে ইউনেস্কোর প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণেও রয়েছে বঙ্গমাতার বিরাট অবদান। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ দেওয়ার পূর্বে বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, আপনার যা মনে আসবে, মন থেকে যা বলতে ইচ্ছা করে, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যা ভালো মনে করবেন তাই বলবেন। বঙ্গবন্ধু তাই করেছিলেন। আর তাতেই বাংলার জনগণসহ বিশ^বাসী শুনতে পেলো লাখ লাখ মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধে উদ্বুদ্ধ করার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। যে ভাষণের পরপরই মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং যার পরিণতিতে বিশ^মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এই তো আমাদের বঙ্গমাতা। আজ ৮ আগস্ট ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ। দেশপ্রেমিক, সাহসী, দূরদর্শী, মহীয়সী নারী, একজন পরিপূর্ণ সফল মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩০ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে জানাই তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বঙ্গমাতার ডাক নাম রেণু। তাঁর পিতা হলেন শেখ জহিরুল হক এবং মাতা হোসনে আরা বেগম। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই বঙ্গমাতা তাঁর মাতা-পিতাকে হারান। মা-বাবাকে হারানো রেণু বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর মাতা সায়েরা খাতুনের আদরে বেড়ে উঠেন। বঙ্গমাতার বাবা মারা যাওয়ার পরেই উভয় পরিবারের বড় সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর বিবাহ ঠিক করেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় তাঁদের বিয়ের ফুলশয্যা হয়েছিল ১৯৪২ সালে। ব্যক্তি জীবনে বঙ্গমাতা দুই মেয়ে ও তিন পুত্র সন্তানের রত্নগর্ভা সার্থক জননী। বঙ্গমাতার সন্তানেরা হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সফল ক্রীড়াবিদ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং ছোট মায়াবী শিশু শেখ রাসেল।

সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনীতিতে বঙ্গমাতার অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। দেশ স্বাধীনের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন সফল করার জন্য নিজের গহনা পর্যন্ত বিক্রি করে অর্থের জোগান দিয়েছেন। এর মাধ্যমেই অনুধাবন করা যায় রাজনীতিতে বঙ্গমাতার অবদান কতটা বিশাল এবং রাজনীতির প্রতি বঙ্গমাতার ভালোবাসা কতটা গভীর। রাজনীতিতে বঙ্গমাতার অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বরেণ্য নেতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগের অফিসের ভাড়া এবং তাঁর অর্থাৎ আব্দুর রাজ্জাকের বাসার ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় বঙ্গমাতা অফিসের ভাড়া, আব্দুর রাজ্জাকের বাসার ভাড়ার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে যেমন বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে একইভাবে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলার সময় বঙ্গমাতার অবদানকে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে বন্দি। আগরতলা ষড়যন্ত্রকে কেন্দ্র করে রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্তান সরকার পরিস্থিতি অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে লাহোরে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানায়। বঙ্গমাতা তখন কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আপত্তি জানায়। কারণ প্যারোলে মুক্তি একদিকে যেমন অসম্মানজনক অন্যদিকে সেই সময়ে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে। বঙ্গমাতার পরামর্শ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি মেনে নেননি। অবশেষে গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয় এবং পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঙালি তাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। সেই সময়ের ছাত্রলীগের সভাপতি জননেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। বঙ্গমাতা এভাবেই বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন বলেই, আন্দোলন-সংগ্রামে সমর্থন দিয়েছেন বলেই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রাম সফল ও সার্থক হয়েছে। বঙ্গমাতার ত্যাগ, ধৈর্য ও জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বঙ্গমাতা আজীবন ত্যাগী মানসিকতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে যে সহযোগিতা করেছেন, সমর্থন দিয়েছেন সেটাই মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়, ওই সময়ের দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গমাতা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের প্রচারণাসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে বঙ্গমাতা বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠনে রাস্তায় লিফলেট পর্যন্ত বিতরণ করেছেন বঙ্গমাতা। বাঙালির মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামে এভাবেই রয়েছে বঙ্গমাতার অবদান। বঙ্গমাতা সম্পর্কে তাঁর জ্যেষ্ঠকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো কারান্তরালে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর। তাঁর অবর্তমানে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করা, আন্দোলন পরিচালনা করা- প্রতিটি কাজে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বেগম মুজিব। তিনি ঊসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের বলিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন নেপথ্যে থেকে। জননেত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, তাঁর (বঙ্গমাতার) স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল, আন্দোলন চলাকালীন প্রতিটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাৎকারের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ নিয়ে আসতেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সেই নির্দেশ জানাতেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ বাঁচিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন। আবার আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের সভা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে চলাকালীন তিনি নিজের হাতে রান্নাবান্না করতেন এবং খাদ্য পরিবেশন করতেন। বঙ্গমাতা এ সংগঠনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করার কাজে তার অবদান অপরিসীম। শুধু কি তাই, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পিতামহ শেখ মোহাম্মদ কাশেম তার সমস্ত সম্পত্তি বেগম মুজিব ও তার আরেক বোনকে দান করে গিয়েছিলেন। দাদার দিয়ে যাওয়া সম্পত্তি থেকে যে অর্থ আসতো, তা তিনি জমিয়ে রাখতেন। নিজের সাধ-আহ্লাদ পূরণে তা খরচ না করে স্বামীর হাতে তুলে দিতেন। রাজনীতি করতে যে টাকার প্রয়োজন হয়, তা তিনি বুঝতেন এবং স্বামীর পথচলাকে সহজ করতেই ছিল বঙ্গমাতার এই প্রয়াস। এ থেকেই আমরা বুঝতে পারি, বঙ্গমাতার উদারতা, মহানুভবতা এবং রাজনীতি ও দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতটা বিশাল।

রাজনৈতিক সচেতন, বাংলাদেশে নারী জাগরণসহ নারীর ক্ষমতায়নের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বঙ্গমাতার জীবন নতুন প্রজন্মের জন্য এক মহৎ অনুসরণীয় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গমাতার জীবন বিশ্লেষণ করলে নতুন প্রজন্ম বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবন থেকে আত্মত্যাগ, সাহসিকতা, দেশপ্রেমসহ অনেক কিছুই শিখতে ও জানতে পারবে। বঙ্গমাতা ছিলেন নিরহংকার, আন্তরিক, অমায়িক, অতিথিপরায়ণ, রাজনৈতিক কর্মীবান্ধব এবং সর্বোপরি একজন মমতাময়ী সফল মা। মহান মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে বঙ্গমাতার বিরাট অবদান। কারণ দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনিও একই স্বপ্ন দেখতেন। সমগ্র বাঙালিকে বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গমাতাও নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। তাই তিনি নিজের সংসারকে যেমন সফলভাবে সামাল দিয়েছেন একইভাবে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামকে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কাছে গৃহবন্দি থেকেও পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তখনও তিনি ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করেছেন। তাই বঙ্গমাতাকে নতুন প্রজন্ম যত জানবে ততই তারা নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরো দৃঢ় হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য, বিশ^স্ত সহযোদ্ধা। দেশ ও জাতি গঠনে বঙ্গমাতা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গমাতা লাঞ্ছিত মা-বোনদের সহযোগিতা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, তাঁদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নীরবে নিভৃতে উৎসর্গিত এক মহৎ জীবনের নাম। বঙ্গমাতা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার স্ত্রীর মতো সাহসী মেয়ে খুব কমই দেখা যায়। আমাকে যখন পিন্ডির ফৌজ বা পুলিশ এসে জেলে নিয়ে যায়, আমার ওপর নানা অত্যাচার করে, আমি কবে ছাড়া পাবো বা কবে ফিরে আসবো ঠিক থাকে না, তখন কিন্তু সে কখনো ভেঙে পড়েনি। আমার জীবনের দুটি অবলম্বন। প্রথমটি হলো আত্মবিশ^াস, দ্বিতীয়টি হলো আমার স্ত্রী আকৈশোর গৃহিণী। কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতার কাছে থেকে প্রেরণা পেয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর সকল কিছুতে সমর্থন-সহযোগিতা পেয়েছেন বলেই বঙ্গমাতা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু এমনটি বলেছেন। এ থেকেই বুঝা যায় বঙ্গমাতা কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। স্বামী-সন্তান, সংসার, রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রাম সবকিছুই তিনি সমানভাবে ও সফলভাবে সামাল দিয়েছেন।

পরিশেষে বলবো বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গমাতাও আমাদের রক্তঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাথে আমরা বঙ্গমাতাকেও হারিয়েছি। যে মাতা তাঁর সমগ্র জীবন একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংসারের সকল দায়িত্ব নিজে কাঁধে তুলে নিয়েছেন, স্বামী জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি সুবৃহৎ রাজনৈতিক দলকে বহু সংকটের হাত থেকে রক্ষা করে দল পরিচালনা করেছেন, সহযোগী সংগঠনের প্রতিও নজর রেখেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুকে সারাক্ষণ প্রেরণা জুগিয়েছেন আমরা সেই বঙ্গমাতাকেও রক্ষা করতে পারিনি। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো তাঁকেও বাঁচতে দেয়নি। এ যে কত কষ্টের, কতটা শোকের তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বঙ্গমাতার রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। তবে আমরা যদি দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সুখী সমৃদ্ধ, শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে পারি সেটাই হবে বঙ্গমাতার জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানানো। বঙ্গমাতার জন্মদিনে আবারো তাঁর স্মৃতির প্রতি রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধা।

লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ ও কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :