ভাড়া নৈরাজ্যের শিকার আ.লীগ নেতা কাজী জাফরুল্লাহ, বললেন, কঠিন পরিস্থিতি

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২২, ১১:০০ | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ অনেক বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহনে ভাড়ার অবস্থা ও জনভোগান্তি দেখতে ভাড়া বাড়ানোর প্রথম দিন রবিবার লোকাল বাসে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ।

বাসে উঠে অনেকটা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েন ক্ষমতাসীন দলের এই প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। দেখলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে কীভাবে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এমনকি নিজেও দিলেন বাড়তি ভাড়া। শুধু তাই নয়, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় বাস থেকে নেমে যেতে বলা হয় তাকে। অবশ্য মাস্ক পরে ছিলেন বলে কেউ তাকে চিনতে পারেননি। তিনি নিজেও কাউকে পরিচয় দেননি।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা কাজী জাফরুল্লাহ নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করার পর বিষয়টি চলে আসে গণমাধ্যমে। তিনি গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, রবিবার বাসে চড়ে মিরপুর থেকে কাকলীতে যান কাজী জাফরুল্লাহ। সাধারণ মানুষের ওপর জ্বালানির তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব দেখতে বের হয়েছিলেন তিনি। ওইদিন দুপুরে পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে তিনি বাসে ওঠেন। কালশী হয়ে সৈনিকগেটের সামনে দিয়ে নৌবাহিনীর সদরদপ্তর পার হয়ে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় নামেন।

বাস চলতে শুরু করার কিছুক্ষণ পরই বাসের কন্ডাক্টর তার কাছে ভাড়া চান। কাকলী পর্যন্ত যেতে তার কাছে ৩০ টাকা ভাড়া চাওয়া হয়, যা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি। তখন কাজী জাফরুল্লাহ কন্ডাক্টরের কাছে জানতে চান, ‘কেন  নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই পথের ভাড়া তো ২০ টাকা।’

এসময় নতুন ভাড়ার তালিকার কথা তুলে ধরে কাজী জাফরুল্লাহ কন্ডাক্টরকে বলেন, ‘নতুন নিয়মে ২২ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভাড়া হবে ২৪ টাকা। সেখানে আপনি ২৫ টাকা নিতে পারেন। কিন্তু, ৩০ টাকা নয়। এসব যুক্তি যেন মানার সময় নেই কন্ডাক্টরের। কন্ডাক্টর তাকে বলেন, ‘আমাকে এসব যুক্তি-টুক্তি দেখাবেন না। ভাড়া ৩০ টাকা। ৩০ টাকাই দিতে হবে, না হলে এখানেই নেমে যান।’

একেকজন একেকভাবে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে, তাই তিনি নিজে বাস্তব পরিস্থিতি জানতে বাসে উঠেছেন বলে জানান।

কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকার হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় বাস্তবতা দেখতেই বাসে উঠেছিলাম। আমার মতে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি মানুষকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।’

দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা ছাড়াই (জ্বালানির দাম বাড়ানো) এ ধরনের উদ্যোগ বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় নেতাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/এমআই/এফএ)