শহীদ মিনার এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৩:৪২ | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৬:০৬

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬-৭ জন শিক্ষার্থী তাকে বেধড়ক মারধর করেছেন।

সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনলেও কোনো অভিযোগ পাননি বলে ঢাকা টাইমসেক জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী।

ভুক্তভোগী এ কে এম. সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ, সোমবার রাতে তিনি শহীদ মিনারে বসেছিলেন। ঢাবির লোগো সম্বলিত টিশার্ট পরা ৬-৭ জনের একটি দল তার কাছে এসে আইডি কার্ড দেখতে চায়। কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানান। এরপরই তাকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা। কানে থাপ্পড় দেয়ায় কানে ও নাকে আঘাত লাগার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্ণনা

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আমার কাছে পরিচয়পত্র নেই, হাসপাতালে রেখে এসেছি। সবাই কী সবসময় পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে? একথা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে একজন থাপ্পড় মেরে বসে। এরপর আরো ২-৩ জন এসে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করে।

ভুক্তভোগী ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘চড়-থাপ্পড়ের পর তারা আমাকে শহীদ মিনার থেকে চলে যেতে জোর করতে থাকে। হঠাৎ একজন আমাকে সজোরে আবার থাপ্পড় মারে। আরেকজন আমার মুখে লাথি মারে। একারণে আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। মারধরকারীদের কেউ কেউ নেশাগ্রস্ত ছিল।’

এ ঘটনায় তিনি শাহবাগ থানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক।

ঘটনাটি শুনেছেন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী চিকিৎসককে তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। মঙ্গলবার এক প্রতিবাদলিপিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/এসকে/ডিএম)