রবীন্দ্র সংগীত চর্চায় নিষেধ নয়, তবে বিকৃতভাবে সংগীত গাইবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন হিরো আলম

নির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে জানতে হিরো আলমকে ডাকা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়।

কয়েক দফায় ডিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলেও বিষয়টি চলে আসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। সবশেষ গত ৭ আগস্ট ডিএমপির পক্ষ থেকে বিবিসির নিউজকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।

যেকোনো সময়, যেকোনো অবস্থায় তলবমতে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে বাধ্য থাকবেন হিরো আলম- এরকম কথাও উল্লেখ রযেছে মুচলেকায়। আর কী কী আছে জেনে নিন-

হিরো আলমের সই করা মুচলেকায় লেখা আছে, ‘আমি আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এই মর্মে মুচলেকা প্রদান করছি যে ভবিষ্যতে আমি চলচ্চিত্র বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে কোনো অশ্লীল কমেডি, অডিও-ভিডিও গান, সংস্কৃতি বা ভাষার বিকৃতি, কোনো নির্দিষ্ট পেশা বা পোশাকের অবমাননা বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করাসহ মানহানিকর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা থেকে বিরত থাকব।’

‘আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজ দায়িত্বে উপরিউক্ত বিষয়ের সকল ধরনের অডিও-ভিডিও কনটেন্ট সরিয়ে ফেলব বা ব্যক্তি উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করব। ভবিষ্যতে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ বা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ এমন অপরাধ করব না। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আমার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।’

মুচলেকায় আরও বলা হয়, ‘যেকোনো সময়, যেকোনো অবস্থায় ডিবি পুলিশের তলবমতে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে বাধ্য থাকব। ভবিষ্যতে আমি আর এ ধরনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করব না মর্মে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ, অর্গানাইজড, ক্রাইম-ইনভেস্টিগেশন টিম, ডিএমপি-ঢাকায় মুচলেকা প্রদান করলাম। আমি সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, বিনা প্ররোচনায় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অত্র মুচলেকা প্রদান করলাম।’

মুচলেকায় মো. মাহবুব নামে একজনের স্বাক্ষর রয়েছে।

উল্লেখ্য, অনুমতি ছাড়া পুলিশের ড্রেস পরে ঘুরে বেড়ানো এবং রবীন্দ্র সংগীতসহ সংস্কৃতি বিকৃতি করার অভিযোগে হিরো আলমকে ২৭ জুলাই গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেযা হয় তাকে।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এএইচ/এফএ)