চাঁদপুরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে চিড়িয়াখানা?

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২২, ১৩:২০ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২, ১৪:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার সিন্ডিকেটের দুর্নীতির কারণে অনেক কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের নিরীহ মানুষের জমি দখল এবং নামমাত্র মূল্যে কিনে তা সেলিম খানের বালুর মেশিন দিয়ে ভরাট করে তোলা হয়েছিল। সেই জমিতে টানানো হয়েছিল চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাইনবোর্ড। কিন্তু গত ৯ জুন হাইকোর্ট সেলিম খান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সেলিম খানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া জাল নথি ও ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে সেলিম খানের পক্ষে ভিত্তিহীন রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় তার দুই সহযোগী আব্দুল কাদের ও জুয়েলকে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
 
এরপরই লক্ষ্মীপুরের ওই জমি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে লাগানো সাইনবোর্ড সরিয়ে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, দিশেহারা সেলিম খান জুনের শেষের দিকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে চিড়িয়াখানা করতে অনুমতি চান। তবে মন্ত্রণালয় এখনো তাকে কোনো অনুমতি দেয়নি।

দুদকে সেলিম খানের বিরুদ্ধে ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা হওয়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে চিড়িয়াখানা করার বিষয়ে জানতে সেলিম খানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া য়ায়।

এদিকে গত সোমবার আপিল বিভাগ সেলিম খানের বিরুদ্ধে আরও একটি রায় প্রকাশ করেছেন। রায়ে গত একদশক ধরে অবৈধভাবে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার বালু উত্তোলনের বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
 
একই সঙ্গে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও সরকারকে রাজস্ব না দেওয়ায় নিরুপণের মাধ্যমে রাজস্বের টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এমআই/এফএ)