‘হাওয়া’ নিয়ে পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৬

বিনোদন প্রতিবেদক

মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। তারই একটি, সিনেমার একাধিক দৃশ্যে খাঁচায় বন্দি পাখি দেখানো এবং একপর্যায়ে সেটিকে পুড়িয়ে খাওয়া। ওই ঘটনা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন। তারা ‘হাওয়া’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ৩৩ সংগঠনের সমন্বিত জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বন্য প্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে।’

চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করে আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করা এবং বন্য প্রাণী হত্যার দৃশ্য দেখানোর জন্য চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট অভিনেতাকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘চলচ্চিত্রটির রিভিউ এবং হলফেরত দর্শকদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, চলচ্চিত্রটিতে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রদর্শন ও একপর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। একই সঙ্গে সেই চলচ্চিত্রের প্রকাশিত বিহাইন্ড দ্য সিনে সামুদ্রিক প্রাণী শাপলাপাতা মাছও তুলে আনতে দেখা গেছে।’

কামরুজ্জমান আরও বলেন, ‘সমাজের আইডলদের মাধ্যমে এ ধরনের বন্য প্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ চিত্রায়ণের কারণে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে এবং জেলেরা শাপলাপাতা মাছ শিকারেও উৎসাহিত হবে। যা প্রকৃতি থেকে এই প্রাণীদের বিলুপ্ত করে দিতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে পুরো প্রতিবেশ ব্যবস্থায়। তাই দ্রুত এই চিত্র দেখানো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

খাঁচায় বন্দি পাখি ছাড়াও ‘হাওয়া’ সিনেমায় অকথ্য ভাষার অসংখ্য গালি নিয়েও অভিযোগ করেছেন অনেকে। বাচ্চাদের নিয়ে সিনেমাটি দেখতে গিয়ে অনেক মা-বাবাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

এছাড়া ‘হাওয়া’ ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া কোরিয়ান সিনেমা ‘সি ফগ’-এর নকল বলেও দাবি করেছেন অনেকে। যদিও পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, সিনেমাটির জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য একটা পক্ষ ইচ্ছাকৃত বিতর্ক সৃষ্টি করছে।

(ঢাকা টাইমস/১০ আগস্ট/এএইচ)