নিউজিল্যান্ড হাসপাতালে ভেপিংয়ের সুযোগ

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৭ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২, ১৭:১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাজ্যের পর এবার নিউজিল্যান্ডেও হাসপাতালে রোগীদের ভেপিং করার সুযোগ দিচ্ছে। ধূমপান ছাড়ার কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভেপিং ব্যবসারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে।

দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপের ওয়াঙ্গানুই জেলার স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সেখানকার হাসপাতালগুলো ধূমপানমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেবল তাই নয়, প্রয়োজনে রোগীদের ধূমপানের বিকল্প হিসেবে বিনা মূল্যে ভেপিং সরবরাহ করা হবে। ধূমপানের তুলনায় ভেপিং অনেক নিরাপদ বিবেচনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিগারেটের ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনতে ইংল্যান্ডে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে ভেপিং। দেশটির মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি এ সংক্রান্ত হালনাগাদ সুপারিশ প্রকাশের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। ইংল্যান্ডের পর নিউজিল্যান্ড ভেপিংয়ের মেডিকেল ব্যবহার নিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে।

২০১৫ সালে পাবলিক হেলথ অব ইংল্যান্ড তাদের সবচেয়ে সাড়া জাগানো গবেষণায় দেখেছে, সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ভেপিং ৯৫ ভাগ কম ক্ষতিকর। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ধূমপান ছাড়ার জন্য ভেপিং ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের দোকানগুলোতে ভেপিং বিক্রি হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের অনুসরণে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষও ভেপিংকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করে সেদিকে ঝুঁকছে। এছাড়া ভেপিংয়ে পরোক্ষ ধূমপানের ঝুঁকিও অনেকাংশে কম।

নিউজিল্যান্ডের ভক্সি ওয়েবসাইটে এক বিক্রয় প্রতিনিধি লিখেছেন, হাসপাতালে রোগীদের মাঝে অনেকে ধূমপায়ী আছেন। তাদের শরীরে নিকোটিনের প্রয়োজন পড়ে। হঠাৎ করে ধূমপান বন্ধ করা তাদের জন্য কঠিন। তাদের জন্য ধূমপান ছাড়তে কার্যকর বিকল্প হবে ভেপিং। ভরটেক ভেপিং ধূমপান ছাড়তে সহায়ক হবে।

নিউজিল্যান্ডের পাবলিক হেল্থ সেন্টারের তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়ক রোজি ম্যাকমেনামিন বলেন, নিউজিল্যান্ডের আদি অধিবাসী মাওরিদের নববর্ষ শুরু ২৭ জুন সোমবার থেকে। এই দিনের সঙ্গে মিল রেখে হাসপাতাল ধূমপানমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ দিনের এই উদ্যোগ ইতিবাচক বার্তা দেবে।

ম্যাকমেনামিন বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মীদের ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাদের বিনামূল্যে ভেপিং দেওয়া হবে। এখন থেকে শরীরে নিকোটিনের প্রয়োজনে কাউকে আর ধূমপান করতে হবে না, হাসপাতালে বাইরে যেতে হবে না।

হাসপাতালের কর্মীরা বলেন, মানসিক সমস্যা নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসেন, অনেকে আবার ড্রাগ সংক্রান্ত সেবা নিতেও আসেন। তাদের ধূমপানের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের অভ্যন্তরে বা সামনের প্রাঙ্গনে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়ার তাদের হাসপাতালের বাইরে যেতে হয় কর্মীদের সাহায্য নিয়ে ধূমপানের জন্য। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এখন থেকে তাদের আর হাসপাতালের বাইরে যেতে হবে না ধূমপানের জন্য। বরং হাসপাতালে ভেপিং করতে পারবে শরীরে নিকোটিনের চাহিদা পূরণে।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এসকেএস)