তেল বেচে বিপিসির কোন বছরে কত লাভ হিসাব দিল সিপিডি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপুল টাকা লাভ করেছে, সে কথা সরকার অস্বীকার করছে না। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন, বিপিসির পাইপলাইন, শোধনাগার নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়েছে বেশ কিছু টাকা।
মূলত ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত- এ সাত বছরের লাভের কথা সামনে আসছে নানা মহলের বক্তব্যে। এ সময়ে মোট কত টাকা এবং কোন বছর কত টাকা লাভ করেছে বিপিসি, সেটি উঠে এসেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক আলোচনায়।
আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন এড়ানো যেত কি?’ শীর্ষক আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, গত সাত বছরে বিপিসি জ্বালানি তেল বেচে ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা লাভ করেছে। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারকে দিয়েছে।
সিপিডি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য পেয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বিপিসির বছর ওয়ারি লাভের হিসাবও তুলে ধরেন।
এর মধ্যে বিপিসি সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে গত বছর, অর্থা’ ২০২১ সালে। এই বছর বিপিসির জ্বালানি তেল বিক্রি থেকে লাভের পরিমাণ ৯ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লাভ করে ২০১৬ সালে। সেবার জ্বালানি তেল বেচে বিপিসির লাভ হয় ৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
অন্যান্য বছরের মধ্যে ২০১৫ সালে ৪ হাজার ১২৬ কোটি টাকা, ২০১৭ সালে ৮ হাজার ৬৫৩ কোটি, ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৭৬৮ টাকা ও ২০২০ সালে ৫ হাজার ৬৭ কোটি টাকা লাভ করে বিপিসি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক পরিসংখ্যানের পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন, বিপিসি এত দিন জ্বালানি তেল বিক্রি করে লাভ করেছে। এখন কেন ভর্তুকি তুলে নিল? বিপিসির লাভের টাকা কোথায় গেল?
বিপিসির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার কোটি টাকা রাখা আছে উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিপিসি চাইলে এই সংকটকালে জ্বালানি তেলের ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে পারত।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/মোআ)