উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা: পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত বহাল
ওড়িষ্যা উপকূল ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবে গত সোমবার থেকে থেমে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঘরমুখো হয়ে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ফুঁসে উঠেছে পটুয়াখালীর তেতুলিয়া, পায়রা, আগুনমুখা এবং বরগুনার বিষখালী নদী। এসব নদ-নদী পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা।
বাতাসের চাপ অনেকটা বেড়েছ এবং থেমে থেমে মাজারি ও ভারী বৃষ্টি বর্ষণ হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোন সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। এজন্য মাছধরা ট্রলারাসহ সকল প্রকার নৌযানসমুহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় ইতোমধ্যে জেলার অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পোতাশ্রয় শিববাড়িয়া নদীসহ আশেপাশের নদীতে আশ্রয় নিয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া বাতাসের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এআর)