দাম বাড়ানোর পরও লিটারে ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান: বিপিসি

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২২, ২১:১০ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২, ২১:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ (এনডিসি)।  তিনি বলেন, বর্তমানে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। আর অকটেনে ২৫ টাকার মতো বিপিসির লাভ হচ্ছে। 

বুধবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিপিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রায় সব ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে বলেও জানান বিপিসি চেয়ারম্যান। বলেন, ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। মুনাফার একটি অংশ বিপিসি প্রকল্পের নামে জমা রেখেছে। বিপিসির পেমেন্টগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এফডিআর ভেঙে ভেঙে তেল কিনেছে সরকার। তেল সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্যই এসব ব্যবস্থা। প্রকল্পের টাকা এনে তেল কেনার কারেন্ট অ্যাকাউন্টে নগদায়ন করা হয়েছে।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা সরাতে-সরাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে এখন ১৯ হাজার কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিপিসির টাকা দিয়ে কয়েক মাস চললে তেলের দাম বাড়াতে হতো না। এটা ঠিক নয়। আমরা এফডিআরের টাকা দিয়েই তেল আমদানি করেছি।’

বিপিসির এক্সটার্নাল অডিট অন্তত দুটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩০ দিনে ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল এবং ৩২ দিনের জেট ফুয়েল রয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ে। সুতরাং পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।  সরকার ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ আমদানি কমাতে বলেছে।  এ বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিপিসির লোকসান নিয়ে এবিএম আজাদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান হয় ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর অকেটন প্রতি লিটার ১৩৫ ও পেট্রোল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/আরকেএইচ/ইএস)