অপহণের টাকা না পেয়ে হত্যা, অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২২, ২১:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পরিবারের কাছে। ওই টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে  মাজহারুল ইসলাম মাজুকে চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে একটি চক্র। এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব-১০। সংস্থাটির ভাষ্য,  হত্যার পর মাজুর লাশ ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাধীন দিঘীরপাড় এলাকার একটি পুকুরপাড়ে লুকিয়ে রাখে।

এমন অভিযোগে ঢাকার নবাবগঞ্জে অপহরণের পর যুবক হত্যা মামলার আসামি মো. আবু হোসেন লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। এ সময় ওই জায়গা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু, নিহত মাজুর ব্যবহৃত রুপার চেইন ও সেন্ডেল উদ্ধার করে।

বুধবার বিকালে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এনায়েত কবির সোয়েব ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাব জানায়, চলতি বছরের ৬ আগস্ট  বিকালে বাসা বের হয় মাজু। উদ্দেশ্যে ছিল তার এক আত্মীয়ের বাসায় যাবে। অনেকক্ষণ ধরে তার কোন খোঁজখবর না পেয়ে মাজুর বড় বোন তার মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করে। মুঠোফোনটি করে  বলে উঠে যে, আমরা তোমার ভাই মাজুকে অপহরণ করেছে। তাকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে মাজুর বোন মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে র‌্যাব-১০ এর কাছে অভিযোগ করেন।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-১০ এর একটি দল অপহরণকারীদের ধরতে একটি কামরাঙ্গীরচর থানার পূর্ব রসুলপুর আসরাফাবাদ এলাকায় একটি অভিযান চালায়। অভিযানে সন্দেহভাজন অপহরণকারী মো. আবু হোসেন লিটনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার লিটনের বরাত দিয়ে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এনায়েত কবির সোয়েব ঢাকাটাইমসকে  বলেন, তিনি এই অপহরণের সাথে জড়িত ছিলেন।  মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাজুকে চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে তার লাশ নবাবগঞ্জ থানার দিঘীরপাড় এলাকার একটি পুকুরপাড়ে লুকিয়ে রাথে। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে র‌্যাব-১০  ওই জায়গা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মাজহারুল ইসলাম মাজুর লাশ উদ্ধার করে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত মাজহারুল ইসলাম মাজুর বাড়ি ঢাকার  নবাবগঞ্জ থানার দিঘীরপাড় গ্রামে। তিনি অটো রিকসা চালক ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এএ)