আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে রাশিয়া সরে এলে কী প্রভাব পড়বে

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২২, ১২:৫৩ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২২, ১৪:২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইউক্রেনে চালানো বিশেষ সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে দেশটি লেনদেনে নিজস্ব মুদ্রার ব্যবহারসহ নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুলাই দেশটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসির।

রাশিয়া জানায়, ২০২৪ সালের পর থেকে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেবে। সেইসঙ্গে, নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরি করে এককভাবে মহাকাশ গবেষণা পরিচালনা করবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এক জোটে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, এই পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কাজ করছে।

১৯৯৮ সাল থেকে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ করে আসছে। তবে সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর মার্কিন অবরোধ চাপিয়ে দেওয়ায় রাশিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও এ ব্যাপারে এখনো নাসাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি রাশিয়ার রসকসমস।

২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি সংস্থার সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিচালনার জন্য চুক্তি করা রয়েছে। তবে সম্মিলিতভাবে আরও ছয় বছর স্টেশনটি পরিচালনা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০২৪ সালে রাশিয়া নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বিপত্তি বেধেছে।

বিপত্তির কারণ হলো সংস্থাগুলো মহাকাশ স্টেশন পরিচালনায় একে অপরের ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। স্টেশনের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র, স্টেশনটি সচল এবং নিরাপদ রাখার কাজটি করে রাশিয়া। এখন রাশিয়া যদি সরে আসে তবে স্টেশনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। যদিও নাসার দাবি তাদের বিশেষ রোবট স্টেশনকে কক্ষপথে ভাসিয়ে রাখার কাজ করতে পারবে।

মহাকাশ স্টেশনে গবেষণা করে যেসব তথ্য পাওয়া যায় চুক্তি অনুযায়ী সেসব তথ্য সংস্থাগুলো একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। এখন যদি কেউ এককভাবে মহাকাশ স্টেশন পরিচালনার দিকে যায় তবে গোপন ও ঝুঁকিপূর্ণ গবেষণা করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

রাশিয়া জানিয়েছে তারা নিজেরাই একটি মহাকাশ স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করবে। এটা এখন উদ্বেগের বিষয়।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এসএটি)