সরকারি ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছর জেল ও ১০ লাখ জরিমানা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২২, ১৭:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন, বিপণন বা আমদানি করলে ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ঔষধ আইন ২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় আইন। এটার অনেক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ মেনশন করা আছে, বিশাল। এই আইনে ১০৩টি ধারা রয়েছে। ওষুধ প্রশাসন কীভাবে হবে, ওষুধ প্রশাসনের কার্যক্রম কী হবে, ওষুধ প্রশাসন মান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, এটার একটা এক্সিকিউটিভ বডি থাকবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুদ, বিতরণ ইত্যাদির লাইসেন্স দেয়ার জন্য কীভাবে লাইসেন্স দেবে, ফি কী হবে, লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্যতা কী থাকবে- এগুলো তারা ঠিক করবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স গ্রহিতার লাইসেন্স আবার যদি কেউ ভুল করে বা অন্যায় কিছু করে কীভাবে তার লাইসেন্স স্থগিত করা যাবে সেটাও এই আইনে উল্লেখ করা আছে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ওষুধ আমদানি করা যাবে না।’

‘একটা অর্ডিন্যান্স হয়েছিল ১৯৮২ সালে ড্রাগ অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ আর ১৯৪০ সালে একটা ড্রাগ অ্যাক্ট ছিল। ওই দুইটিকে এক করে এখন এটা আপগ্রেড করা হলো। আর ১৯৮৪ সালে একটা ওষুধ নীতিমালা- ওইটা একটা বড় গাইডলাইন হিসেবে কাজ করেছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের ওষুধ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়াই যদি কিছু করে তাহলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পারবে। কোনো প্রতিষ্ঠান প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিক্রির জন্য মজুত প্রদর্শন করতে পারবে না। সরকারি ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ এগুলো কোনভাবেই যেন ট্রানজেকশনের মধ্যে না আসে। লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ওষুধ আমদানি করা যাবে না। কোনো রকম ওষুধ কেউ আনতে পারবে না।’

আইনে থাকা শাস্তির বিধান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রায় ২২টি ধারাতে, অবজারভেশন দেয়া হয়েছে যে এতগুলো ধারাতে শাস্তি না দিয়ে এটাকে গ্রুপ করে অল্প কয়েকটাতে আনা যায় কিনা। এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক জেলা সদরে একটা করে আদালত থাকবে। ড্রাগ অথরিটি তারাই তদন্ত করবে যেহেতু এটা টেকনিক্যাল বিষয়। তদন্তটা তারা করবে।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এমএইচ/ইএস)