সাতক্ষীরায় থেমে থেমে বৃষ্টি, ঝুঁকিতে উপকূলের বেড়িবাঁধ

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরায় আকাশ মেঘাচ্ছন্নসহ মাঝে মধ্যে ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার জরাজীর্ণ ৬২ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।  

উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুররা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, রাত থেকেই থেমে থেমে হালকা, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের সময় বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালি, তিন নম্বর পোল্ডারসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ইতোমধ্যে নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় কানায় পানি উঠছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, তার আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৪২ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার চলমান রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, তার আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪০০ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ফলে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২-১ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে। তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আরো জানান।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এলএ)