জনদুর্ভোগ না করে উন্নয়ন কার্যক্রম চলবে: ডিএনসিসি মেয়র

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মেট্রোরেল, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান। এসব কাজের কারণে জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে বলে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সিটি করপোরেশন এবং প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করারও নির্দেশনা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভায় মেয়র এসব নির্দেশনা দেন। ডিএনসিসি এলাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই সভার আয়োজন করে।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'মেট্রোরেল, বিআরটি চালু হলে এর নিচের রাস্তা, ড্রেন, শাখা রোড, রাস্তার লাইট, পরিবেশ এগুলো সবই সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ফুটপাত যথেষ্ট প্রশস্ত হতে হবে। তা না হলে সেখানে যাত্রীরা ব্যাগ বা জিনিসপত্র নিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবেন না। ল্যান্ডিং স্টেশনে পাবলিক স্পেস খুব জরুরি। এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘চলমান প্রকল্পগুলো চালু হলে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। স্টেশন কেন্দ্রিক যে অর্থনৈতিক বলয় গড়ে উঠবে তার সঠিক পরিকল্পনা করে জনসাধারণের কাজে লাগাতে হবে। যত বেশি কানেকশন আমরা করতে পারবো ততই কিন্তু মানুষ ঢাকা শহরে কাজ সেরে আবার নিজেদের বাড়িতে চলে যাবে।’

সভায় উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগ ও প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে  ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ফুটপাতে মেট্রোরেল ও বিআরটির কোনো ল্যান্ডিং স্টেশন করা যাবে না। চলাচলের জন্য ফুটপাত সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত থাকবে।’

সভায় অন্যদের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, এমআরটি লাইন ১, ৫ ও ৬, বাস রুট ট্রানজিট ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, ডিটিসিএ ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এএ/কেএম)