প্রয়োজনে ডাক পরিবহনের জন্য ড্রোন ব্যবহার করব: মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২২, ২১:৩০

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ব্যবস্থা করবো। এমনকি আমি এটাও চিন্তা করছি কোনো এক সময় দেখা যাবে আমার ডাক পরিবহন করার জন্য গাড়ি পাচ্ছি না, রেল পাচ্ছি না, লঞ্চ পাচ্ছি না তখন হয়ত আমি ড্রোন ব্যবহার করব। অথবা যে কোনোভাবেই হোক না কেন যাতে মানুষ তার পণ্য পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমি করবো; যাতে আমি একটি ডুবন্ত নৌকা উদ্ধার করতে পারি।’

বৃহস্পতিবার বিকালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের নতুন ডাকঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবেলা করার জন্য আমরা সক্ষমতা অর্জন করছি। আমরা এরই মধ্যে প্রথম যে পদক্ষেপটা নিয়েছি সেই পদক্ষেপ হচ্ছে আপনি বাড়িতে বসে থেকে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জানতে পারেন আপনার পার্সেলটি কোথায় আছে। শুধু কোন জায়গায় আছে তা না কোনো পিওনের কাছে আছে কে ডেলিভারি দিবে সেটা যেন জানতে পারেন। ইতোমধ্যেই আমরা সার্ভেও কাজ করছি ডাকঘরকে ডিজিটাল করার। তাই এই ডাকঘরের নাম দিয়েছি ডিজিটাল ডাকঘর। সার্ভের রিপোর্ট আমরা সেপ্টেম্বরে পেয়ে যাবো।’

মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ‘ডাকের প্রয়োজনীয়তা ফুরায় নাই কারণ একটি বাংলাদেশের কোন কুরিয়ার সার্ভিস ডাকের প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বাংলাদেশে ৯ হাজারের মতো ডাকঘর আছে তাতে কর্মরত পিওনরা প্রত্যেকটা বাড়ি চিনেন। বছরের পর বছর তো এটা পশ্চাৎপদ ছিল তাই আমাদের একটু সময় দেন এটাকে ঠিক করার।’

এ সময় পোস্টমাস্টার জেনারেল (কেন্দ্রীয় সার্কেল) ফরিদ আহম্মেদ, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তাফা, উপ প্রকল্প পরিচালক মো. শামীমুর রাজিব, ডেপুটি জেনারেল পোস্টমাস্টার মো. ওয়াহেদুজ্জামান, সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আরা, সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, বালিয়াটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহমেদ চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ের ডিজিটাল কন্টেন্ট এবং পরে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ডিজিটাল পল্লী পরিদর্শন করেন।
 

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এআর)