উত্তরায় এটিএম বুথের ভেতরে ছিনতাই, বাধা দেয়ায় খুন

রাজধানীর উত্তরায় একটি এটিএম বুথের ভেতরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম শরিফ উল্লাহ। এ ঘটনায় আব্দুস সামাদ নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। 

সোনারগাঁও জনপথ ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

শুক্রবার সকালে ওই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই জাকির হোসেন।

পুলিশ জানায়, বুথে ছিনতাই ও খুন করে টাকা নিয়ে পালানোর সময় নাইট গার্ড ও আশপাশের লোকজন আব্দুস সামাদকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিসন ঢাকাটাইমসকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের একটি টহল গাড়িতে করে শরিফকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, শরিফ উল্লাহ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার মধুপুর গ্রামের মৃত মোহাব্বত আলীর ছেলে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৬/সি সড়কের ২৪ নম্বর প্লটে টাইলসের ব্যবসা করতেন তিনি। ভুক্তভোগীর জাকিয়া টাইলস গ্যালারি অ্যান্ড স্যানিটারির ব্যবসা আছে।

তিনি গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানার আওতাধীন দেওড়া এলাকার ১৮৯ শাহজালাল সড়কে স্ত্রী রিয়ানা পারভিন পলি ও দুই ছেলে শাহ নেওয়াজ স্বাধীন ও সোয়েব মাহমুদকে নিয়ে বসবাস করতেন।

শরিফের বড় ভাই জাকির হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই ব্যবসা করত। রাতে সে ব্যবসার কাজে টাকা ওঠাতে গেলে ছিনতাইকারী এটিএম বুথের ভেতরে ঢুকে শরিফের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী ওর গলা ও ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

উত্তরা পশ্চিম-থানা পুলিশ জানায়, সুরতহাল প্রতিবেদনে মরদেহের ডান পাশের কানের নিচে গলায় ধারালো অস্ত্রের বড় জখম ও বাঁ পাশের কানের নিচে দুটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ মহিসন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এএইচ/ইএস)