‘বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সমালোচনার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫৯ | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০২২, ১৯:১৭

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছেন—পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মহামারি করোনার অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যখন দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী তখন মন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে দেশবাসীর সঙ্গে ঠাট্টা হিসেবে দেখছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ সচেতন মানুষরা।

শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’ মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। একটি পক্ষ বলছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। এরা প্যানিক ছড়াচ্ছে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে লেখেন, ‘কিছু লোকের জন্য দেশটা সত্যি বেহেশতের মতো। সরকার পরিবর্তন হলে এরা এই বেহেশত ছেড়ে বিদেশি বেহেশতে চলে যায় শুধু। আমজনতা কখনো বেহেশতের দেখা পায় না।’

একজন লিখেছেন, ‘মোমেন সাহেব আপনার বেহেশতে আমি ও আমরা কীভাবে দিন কাটাচ্ছি তা দেখার নিমন্ত্রণ রইল।’

লাবণ্য লিপি নামে একজন লিখেছেন, ‘বেঁচে থাকতেই বেহেশত দেখলাম।’

দুর্জয় রায় নামে একজন লেখেছেন, ‘দয়া করে আপনাদের কাতল মাছ মার্কা মুখগুলো বন্ধ রাখুন। মাটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্কহীন হলে, বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে বিবেকবোধ হারিয়ে ফেললে মুখ দিয়ে এমন কথাই বের হয়।’

সৈয়দ রানা মুস্তফী লেখেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদের ব্যক্তিরা সবসময় বাজে সিলেকশন।

কবি খায়রুল বাবুই লিখেছেন, বাংলাদেশ মূলত বেহেশতই। উনার মতো নেতারাই দোজখ বানিয়ে রেখেছেন!

দীপ আজাদ লিখেছেন, ‘অতিরিক্ত কথা কখনো হাস্যরস, আবার কখনো বির্তক সৃষ্টি করে।’

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মিজান মালিক লিখেছেন, ‘জনমানুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এমন উদ্ভট কথা বলতেন না।’

যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক জুননুরাইন লিখেছেন, হে প্রভু! পৃথিবীর সকল মুসলমানকে বাংলাদেশ বেহেশত দান করুন।

মন্ত্রী বাংলাদেশকে বেহেশতের সঙ্গে তুলনা করার দিনই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় গণপরিবহন ভাড়া বাড়ার পাশাপাশি বড় ধরনের প্রভাব দেখা গেছে নিত্যপণ্যের বাজারে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সবজি, মুরগি, ডিম, চিনি, আটা, তেল, ডালসহ প্রতিটি নিতপণ্যের দাম ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডিমের ডজন ১৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :