সারাদেশের চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে শ্রমিকরা

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৬ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২, ১১:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে সারা দেশের চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় এ ধর্মঘট।

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান কর্মবিরতির চতুর্থ দিনে শুক্রবার এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা রামভজন কৈরি ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শ্রমিক নেতারা জানান, ১৫ আগস্টের মধ্যে দাবি না মানলে ১৬ আগস্ট থেকে দেশের সব চা বাগানে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হতে পারে।

দেশের ৭৩ ফাঁড়ি বাগানসহ ২৪০ চা-বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯১টি চা বাগান।

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে সকালে প্রতিটি চা বাগানের কারখানার সামনে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালনসহ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম চা শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েক নেতার সঙ্গে মিটিংয়ে আন্দোলন ২৮ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিতের অনুরোধ করেন। কিন্তু চা শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

দেশের চা-বাগানগুলোতে বর্তমানে শ্রমিকদের হাজিরা ১২০ টাকা। এ বিষয়ে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা রামভজন কৈরি ঢাকাটাইমসকে বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যে চা-শ্রমিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে কিছুই করতে পারে না। লাখ লাখ চা-শ্রমিক আজ খেয়ে না খেয়ে আছে। অথচ মালিকপক্ষ চা শ্রমিকদের দাবি মানছে না।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, আমরা গত ১৯ মাস থেকে আবেদন নিবেদন করে আসছি। কিন্তু মালিক পক্ষ সময় ক্ষেপণ করছে। তারা মাত্র ১৪ টাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৪ টাকা বৃদ্ধি হলে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি হবে ১৩৪ টাকা। এই ১৩৪ টাকা দিয়ে একজন শ্রমিকের জীবন কীভাবে চলে?

তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ২ বছর পরপর মজুরি বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ১৯ মাস পরও মালিক পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/ইএস