এবার দেশে আসবেন তো শাকিব খান, নাকি ফাঁকিই দেবেন?
তার অপেক্ষায় অসংখ্য ভক্ত, সহকর্মী, পরিচালক-প্রযোজক। তিনি বাংলাদেশি সুপারস্টার শাকিব খান। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে দুই দফায় তারিখ দিয়েও দেশে আসেননি। অপেক্ষা বাড়িয়েছেন ভক্তদের। আবারও দেশে আসার নতুন তারিখ জানিয়েছেন কিং খান। আগামী ১৭ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা।
এবার কথা রাখবেন তো কিং খান? নাকি এবারও ফাঁকি দেবেন? উঠছে এমন প্রশ্ন। তবে এবার শাকিব খানের দেশে আসা অনেকটা নিশ্চিত বলেই জানা গেছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে শাকিব খান জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে ১৭ আগস্ট দুপুর ১২টায় তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। অভিনেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছি। অসম্ভব একটা ভালো লাগা কাজ করছে। এত দীর্ঘ সময় কখনো দেশের বাইরে থাকিনি।’
কিং খান আরও জানান, ‘দেশে ফিরে কিছু জমে থাকা কাজের শুটিং করবো। নতুন সিনেমার শুটিং করবো সেপ্টেম্বর থেকে।’ সেই নতুন সিনেমা কী? জানা গেছে, দেশে ফিরে সরকারি অনুদানের ‘মায়া’ সিনেমার কাজ শুরু করবেন শাকিব খান। এর প্রযোজকও তিনি। এখানে তার বিপরীতে আছেন পূজা চেরি।
শাকিব খান প্রথম দেশে আসার কথা জানান গত রোজার ঈদে। আসেননি। এরপর ঈদুল আজহায় আসবেন বলে জানান। সে বারও আসেননি। এবার সত্যি আসবেন কি না, সেটা ১৭ আগস্ট এলেই বোঝা যাবে।
গত বছরের ১২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে একটি ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শাকিব খান। সেখানে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। ওই অনুষ্ঠান শেষ হলেও দেশে ফেরেননি কিং খান। থেকে যান নিউইয়র্কে। পরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। সম্প্রতি গ্রিন কার্ডও পেয়েছেন।
গুঞ্জন উঠেছিল, একমাত্র ছেলে আব্রাম খান জয়ের নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করেছিলেন শাকিব খান। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন নায়কের সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ছেলে জয়কে তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য শাকিব এসব করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন অপু।
যদিও ছেলে জয়ের মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য শাকিব খান আসলেই আবেদন করেছিলেন কি না, তার কোনো সত্যতা এখনো মেলেনি। কারণ, এ বিষয়ে কখনো মুখ খোলেননি কিং খান।
(ঢাকা টাইমস/১৩ আগস্ট/এলএম/এএইচ)