দুই পরিবারের নয়জনকে অচেতন করে চুরি, জ্ঞান ফেরেনি দুজনের

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২২, ২০:২১

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সিলেটে খাবারের সঙ্গে ঘুমের বা চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একটি বাসার দুটি ইউনিটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওষুধ খাওয়ানোর ফলে দুই পরিবারের নয় সদস্য অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্য দুজনের এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
শুক্রবার রাতে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের মুখে অবস্থিত ‘সিলেট ক্লাব’র পেছনের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
অসুস্থদের মধ্য একজন সুলতানা বেগম (২৮)। তিনি সিলেটে একটি বেরসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
সুলতানা বেগম শনিবার জানান, ‘সিলেট ক্লাব’র পেছনের টিনশেডের একতলা বাসায় তারা দুটি পরিবার ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে সুলতানার ভাই সাহেদ আহমদ রাতে অন্যত্র খেয়ে আসায় বাসায় রাতের খাবার খাননি। সাহেদ প্রায় পুরো রাতই জেগে ছিলেন। ভোর ৫টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে মা-বোনের চিৎকারে তিনি দৌঁড়ে গিয়ে দেখেন- তাদের রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা। এসময় সাহেদের মা সাহেদকে বলেন, গ্রিল কাটার শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেলেও তিনি চোখে ঝাপসা দেখছিলেন এবং কয়েকবার বমি করেন। তাই চিৎকার করে ছেলেকে ডাকেন।
সাহেদ এসময় মা-বোনসহ তার পরিবারের ৩ জনকে অসুস্থ দেখতে পান। এসময় পাশের ইউনিটের লোকজনকে ডাকতে গিয়ে তাদেরও একই অবস্থা দেখতে পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাদের সবাইকে নিয়ে গিয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সুলতানা বেগম আরও জানান, তাদের দুই পরিবারের মোট ৯ জন অসুস্থ। এর মধ্যে শনিবার বিকাল পর্যন্ত দুজনের জ্ঞান ফেরেনি। তবে বাকি সবার অবস্থা উন্নতির দিকে।

সুলতানার ভাই সাহেদ আহমদ জানান, অসুস্থদের চিকিৎসা প্রদানের ব্যস্ততায় এ বিষয়ে এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের ব্যস্ততা শেষে মামলা করবেন। তবে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে সুস্থদের বক্তব্য নিয়েছে।

সাহেদ আরও জানান, তাদের বাসার কিছু চুরি না হলেও পাশের ইউনিটের খাবার কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা।

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মেহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতরা হাসপাতালে রয়েছেন। বিষয়টা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এলএ)