মাঝরাতে বের হয়ে ভোরে বাসায় ফেরেন কলেজ শিক্ষিকার স্বামী, জানালেন কেয়ারটেকার

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৩:১০ | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৩:০৫

নাটোরে ছাত্রকে বিয়ে করা কলেজ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে প্রশ্ন উঠেছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইতোমধ্যে তার স্বামী মামুনকে (২২) আটক করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা খাইরুন নাহার (৪০) আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের অনেকে দাবি করছেন- এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

এদিকে রবিবার সকালে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্বার করে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে স্বামী মামুন কোথায় ছিলেন, এ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন ওই বাসার কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিন।

কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টায় বাড়িতে প্রবেশ করেন মামুন। পরে রাত আড়াইটার দিকে ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে আবার বের হন তিনি। পরে সকাল ৬টায় তিনি বাসায় ফিরেন।’

কেয়ারটেকার আরো জানান, ‘বাসায় ফিরে মামুন আমাকে চার তলায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখি, খাইরুন নাহারের লাশ ঘরের মেঝেতে।’

অপরদিকে বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এসপি লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। তারা স্বামী-স্ত্রী তাদের বিয়েকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিল। পরবর্তীতে সামাজিক, পারিবারিক এবং কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তাদের মধ্যে একটা মানুসকি চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।’

‘তার (কলেজশিক্ষিকা) সন্তানদের পক্ষ থেকেও একটা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। এসব চাপের কারণেই এটা আত্মহত্যা কি না, অথবা অন্য কোনো কারণ আছে কি না আমরা তদন্ত করে দেখছি’—যোগ করেন এসপি।

উল্লেখ, গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। ছয় মাস প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা।

মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন খাইরুন। একবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন।

এই বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও শিক্ষিকার পরিবার মেনে নেয়নি। সামাজিকভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য করলেও সেসব তোয়াক্কা না করে নতুন সংসারে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মাত্র ছয় মাসের ‘সুখের সংসারের পর আজ লাশ উদ্ধার হলো শিক্ষিকার।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এফএ/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :