সুইস ব্যাংকের কাছে ৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৪:০৬ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৫:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ রাখার বিষয়ে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউর কাছে তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এই তথ্য চেয়েছিল বলে আদালতে জমা দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক এবং বিএফআইইউ এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রতিবেদন জমা দেয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশির অবৈধভাবে জমা রাখা অর্থ বা পাচারের বিষয়ে সরকার বা দুদক কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না তা রবিবারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রবিবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক প্রতিবেদন দুটি জমা দেন। তিনি আদালতকে জানান, ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডে অর্থ জমা রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ওই ব্যক্তিদের তথ্য জানতে চেয়েছে। তবে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউ জানিয়েছে, তাদের কাছে শুধু একজনের তথ্য রয়েছে।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এফআইইউর কাছে দুদকের পক্ষ থেকে ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২১ সালে তথ্য চেয়েছিল বিএফআইইউ কিন্তু তারা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ সরকার ও দুদকের দেওয়া বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের দেওয়া বক্তব্য সঠিক না। এসময় তিনি রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার অনুরোধ জানান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ১০ আগস্ট ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসাসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক আলোচনায় সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য চায়নি বাংলাদেশ সরকার।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/ডিএম)