পঁচাত্তরের আগস্টে দেশান্তরী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ফিরিয়ে আনার দাবি
প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪৫

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অংশ নেয়ার পর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশান্তরী হওয়া প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দেশে ফেরানোর দাবি উঠেছে। ‘পচাত্তরের প্রতিরোধযোদ্ধা বীর কামন্ডোরা’ ব্যানারে এক মানববন্ধনে এমন দাবি এসেছে।
তাদের ভাষ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে বাধ্য হয়ে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে নির্বাসনে যেতে হয়েছে অন্তত আট শতাধিক প্রতিরোধ যোদ্ধাকে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের কবর যেন জন্মভূমিতেই হয়।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেয়া কবিরুল ইসলাম বেগ, রতীশ তালুকদার, হায়দার মাস্টার, স্বপন চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কবিরুল ইসলাম বেগ বলেন, ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে সাহায্য প্রদান বন্ধ করা হোক। আমাদের নাম ভাঙিয়ে প্রধানমন্ত্রী তহবিল থেকে বরাদ্দের নামে লুটপাট করা হয়। অথচ আমরা এসব কিছুই চাই না।’
‘আমরা চাই, আমাদের সহযোদ্ধাদের কবর জন্মভূমিতেই হোক। বঙ্গবন্ধুকন্যার শাসনামলে জাতির জনক হত্যার প্রতিবাদকারীরা আসাম-মেঘালয়ে নির্বাসনে থাকতে পারে না।’
প্রতিরোধযোদ্ধা বীর কমান্ডোর সাধারন সম্পাদক স্বপন চন্দ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তারই কন্যার শাসনামলে জাতির জনক হত্যার প্রতিবাদকারীরা আসাম ও মেঘালয়ে নির্বাসনে থাকতে পারে না।’
‘সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের যথযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি প্রতিরোধ ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হোক এবং সেখানেই প্রতীকী ম্যুরাল স্থাপনের করে তাদের গৌরবদীপ্ত ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়া হোক।’
মানববন্ধনে প্রতিরোধ যোদ্ধারা দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের বিভিন্ন অংশ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তারা। কিন্তু হত্যাকারীদের বর্বর অত্যাচারের মুখে তারা ভারতের আসাম-মেঘালয়ে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার বাঙ্গালিভিটা গ্রামের ৬২টি পরিবার। এরপর কোনো সরকারই তাদের আর দেশে ফিরিয়ে আনার চেস্টা করেনি।
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এআর/ডিএম)