শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫০

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নাটোরে কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকাল ৬টার দিকে জেলা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত রবিবার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে (২২) আটক করা থানায় নেওয়া হয়। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নিহত শিক্ষিকা খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর মামুনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত চলছে দাবি করে তিনি বলেন, মামুনের ব্যাপারে আদেশ দেবেন আদালত। আর তদন্ত শেষে ওই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী মামুন তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন। মামুন জানান, ‘শনিবার রাত ২টায় দুজনের ঝগড়া হলে তিনি খাইরুনকে লাথি মেরে বাইরে চলে যান’। এরপর শিক্ষক খাইরুন নাহার বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মামুন ফোন রিসিভ করেননি। এতে ক্ষোভে খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান মামুন। সেদিন রাত ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে মামুনের ঘোরাঘুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

এর আগে ২০২১ সালে ফেসবুকে পরিচয়ের পর ৬ মাস চলে প্রেমের সম্পর্ক। পরে  ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষক খায়রুন নাহার বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষটি ভাইরাল হওয়ার দুই সপ্তাহর মাথায় ভাড়া বাসায়  শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এআর)