বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২২, ২১:০৬

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি ছিলেন সারাবিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতীয় মানের নেতা। পরাজিত শক্তি জাতীয় মানের নেতাকে দেখেও ভয় পেতেন।

 

সোমবার বিকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে জ্বালানি নিরাপত্তার কথা বলি আর যাই বলি, বঙ্গবন্ধু সবকিছুই আমাদের জন্যে করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোষণের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছিলেন। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যা যা করার দরকার তাই-ই করে দিয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জন্যে তিনি সকল দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। তিনি যত ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তার সুফল আজ আমরা পাচ্ছি।

 

তিনি বলেন, আজকে বৈশিক একটি সমস্যা চলছে। কোভিড থেকে বেরিয়ে আসার পথে বৈশ্বিক যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বে জ্বালানি ও খাদ্যের সঙ্কট চলছে। বিশ্বের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদেরও চলতে হবে। তবুও আমাদের অর্থনীতির অবস্থা এখন অনেক ভালো আছে। প্রতিবার নির্বাচনগুলো আসলেই একটি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এরা চিরজীবনই ষড়যন্ত্রকারী।

 

দীপু মনি বলেন, যদিও বলায় হয়, জেনারেল জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যদি তাই হবে এবং তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের এবং আমাদের প্রাণের শ্লোগান যে শ্লোগান দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি এত রক্তের বিনিময়ে সে জয় বাংলা তিনি নিষিদ্ধ করতেন না। বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা হত না। ৭ মার্চের যে অবিস্মরনীয় ভাষণ দিয়ে জাতি ও রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, পৃথিবীতে অন্যান্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে সে ভাষণ নিষিদ্ধ হত না। বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হত না। এমনকি তারা জাতীয় সংগীতকেও পরিবর্তন করার চেষ্টা চালিয়েছিল।

 

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি কী করে স্বাধীনতার চেতনাকে একে একে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। ধর্মভিত্তিক অপরাজনীতিকে আমাদের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। তাই নয়, যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে, তাদেরকে এনে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে যারা ক্ষমতায় বসায়, তারা আর যাই হউক, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ হতে পারে না। আমাদের শহীদের রক্তের অবমাননা ও বেঈমানি করে তারা এই কাজগুলো করেছে। একই সঙ্গে তারা ২১ বছর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে জঘন্য অপপ্রচার করেছে।   চাদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, পিবিআই পুলিশ সুপার খন্দকার নূর রেজওয়ানা পারভিন।

 

দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার প্রমুখ।

 

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এআর)