৩০০ টাকা মজুরির দাবি: দেশজুড়ে ফের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক চা শ্রমিকদের

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২২, ২২:১২ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২২, ২২:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে দেশের ৭৩ ফাড়ি বাগানসহ ২৪০টি  চা বাগানে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিকদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।

কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ পথসভা সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে চা শ্রমকরা।

এদিকে চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির  বিষয়টি সমাধানের জন্য একই দিন মৌলভীবাজারে আসছেন শ্রম অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী (এন ডি সি) । 
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা রামভজন কৈরির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি দৈনিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক শ্রীমঙ্গলে আসছেন এ বিষয়টি  আমরা জেনেছি। কিন্তু আমাদের আন্দোলন স্থগিত করার কোনো  সুযোগ নেই। দেখতে দেখতে ৩ বছর চলে গেছে। অনেক আবেদন নিবেদন করেছি। কিন্তু মালিকপক্ষ চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে রাজি না। তারা প্রতিনিয়ত চা শ্রমিকদের সঙ্গে উস্কানিমূলক আচরণ করছে।  তাই আমাদের আন্দোলন ও  আল্যচনা একসাথে চলবে’।
 

শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক নাহিদ ইসলাম এ বিষয়ে দৈনিক ঢাকা টাইমসকে জানান, শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারে  শ্রীমঙ্গলে এসে পৌঁছবেন। আমরা চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে একান্তে উনি আলোচনা করবেন। এরপর তিনি মালিকপক্ষকে নিয়ে বসে একটা সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
 

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পক্ষে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি বলেন আমরা গত বৃহস্পতিবারও শ্রমিক নেতৃত্বের সঙ্গে বসেছি। মহা পরিচালক আসার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা বলেছি কিন্তু চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাতে রাজি হয়নি।

এর আগে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে চা শ্রমিকদের সংগ্রাম বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। ৩০০ টাকা মজুরির দাবি না মানায় ১৪ আগস্ট শনিবার পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করেছেন তারা।
 

দেশের  ৭৩ টি ফাঁড়ি বাগান সহ২৪০  টি চা বাগানের শ্রমিকরা একযোগে এই ধর্মঘট পালন করে।
 

চা শ্রমিক নেতারা বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক সময়ে বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত ৩ বছর ধরে নানা টালবাহানা করে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। এতে করে চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
 

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এআর)