৪২ বিত্তবানকে ভুয়া বন্দোবস্তে মুজিব শতবার্ষিকীর বাড়ি বরাদ্দ

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২২, ১০:৫১ | প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০২২, ২০:৩৪
ফাইল ছবি

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য সরকারের উপহারের জমি ও ঘর বরাদ্দে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- সরকার ওই উপজেলায় ১৯৫টি বন্দোবস্তকৃত ভূমি ও বসতবাড়ি বরাদ্দ করলেও সার্ভেয়ার মো. হুমায়ুন কবির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সই নকল করে অতিরিক্ত ৪২টি বাড়ি ও জমি বিত্তবানদের নামে বরাদ্দ দেন।

আজ মঙ্গলবার দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাভেদ হাবীব। দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলার ভূমিহীনদের জন্য প্রথম দফায় ২৮ মার্চ ২২টি, ২৪ এপ্রিল স্মারকমূলে ১২০টি এবং ৯ মে তারিখের স্মারকমূলে ৫৩টি মোট ১৯৫টি বাড়ি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন দেয় সরকার। সার্ভেয়ার মো. হুয়ায়ুন কবিরকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদানসহ তার স্বাক্ষর সত্যায়ন করে কবুলিয়তগুলো রেজিস্ট্রি করার জন্য খেপুপাড়া সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো হয়।

সার্ভেয়ার হুমায়ুন কবির ১৯৫টি কবুলিয়ত কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকের স্বাক্ষরিত ফরোয়ার্ডিং স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে ১ নম্বর স্মারকে ২২টির স্থলে ৩১টি (অতিরিক্ত ০৯টি), ২ নম্বর স্মারকে ১২০টির স্থলে ১৩২টি (অতিরিক্ত ১২টি) এবং ৩ নম্বর স্মারকে ৫৩টির স্থলে ৭৪টি (অতিরিক্ত ২১টি) মোট অতিরিক্ত ৪২টি কবুলিয়ত রেজিস্ট্রি দলিলে ০.০২ একর (২ শতক) কর্তন করে পরিবর্তে কোনোটিতে ২ একর এবং কোনটিতে ৩ একর মোট ৭২ দশমিক ৯০ একর (পূর্বের এজাহারে বর্ণিত তালিকা মোতাবেক) সম্পত্তি যাচাইবাছাই না করে ভূমিহীন ব্যতীত বিত্তবানদের নামে কবুলিয়ত দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন।

গত ২৮ জুলাই কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ও সহকারী কমিশানর (ভূমি) যাচাই করে দেখেন অনুমোদিত ১৯৫টি কবুলিয়ত ছাড়া অতিরিক্ত ৪২টি কবুলিয়ত রেজিস্ট্রির কোনো বন্দোবস্ত নথিপত্র কলাপাড়া ভূমি অফিসে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অতিরিক্ত ৪২টি কবুলিয়ত গ্রহীতাদের নামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলায় কোনো খাসজমি ও বসতবাড়ি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি।

দুদকে সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন কবির সার্ভেয়ার পদে কর্মরত থেকে ইউএনওর স্বাক্ষরিত মূল ফরোয়ার্ডিং গোপন রেখে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে অসাধুভাবে উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৮/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :