নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২২, ২১:৪২

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভনে ফেলে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে বøাক মেইল করার অভিযোগ ওঠেছে। এঘটনায় পরীক্ষার্থীর বাবা আবু নাছের বাদী হয়ে ৩জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম বাবু (২১) ও আবুল খায়ের পুটনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে।

 

মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দু’জনকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইদিন ভিকটিমকে ডাক্তার পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, চরহাজারী ৯নং ওয়ার্ডের লাল খান বাড়ীর ইসমাইলের ছেলে তরিকুল ইসলাম বাবু (২১) এবং রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছমদ আলী মিয়াজি বাড়ীর মৃত আবুল কালামের ছেলে আবুল খায়ের পুটন (২৩)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপর আসামী রামপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের কেরানী বাড়ীর পরানের ছেলে ইমাম হোসেন রুবেল (২৫) পলাতক রয়েছে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৬) বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতো তরিকুল ইসলাম বাবু। এক পর্যায়ে বাবুর প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুযোগ নিয়ে বিয়েল প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে বাবু ওই ছাত্রীকে কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তার প্রবাসী ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়িতে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বাবু। সবশেষ গত ১৪ আগস্ট রোববার বিকেলে বাবু ওই ছাত্রীকে পুনঃরায় ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে বাবুর ভাবী না থাকায় সে গেইটে ছাত্রীকে রেখে পাশ^বর্তী একটি বাড়িতে যায় বাসার চাবির জন্য।

 

পুলিশ জানায়, গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলছাত্রীকে দেখতে পেয়ে পাশে উৎপেতে থাকে স্থানীয় যুবক আবুল খায়ের পুটন ও ইমাম হোসেন রুবেল। কিছুক্ষণ পর বাড়ির গেইটে বাবু আসলে তাদের দুইজনকে আটক করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায় পুটন ও রুবেল। পরে ঘরের একটি কক্ষে তাদের আটকে রেখে দুইজনের ভিডিও ধারণ করে তারা। পরবর্তীতে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাবুর কাছ থেকে ২০হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আদায় করে রুবেল।

 

আরও টাকার জন্য গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ওই এলাকায় মোবাইলে ডেকে এনে আরও টাকা দাবি করে রুবেল ও পুটন। টাকা নিয়ে তাদের তিনজনের মধ্যে বাকবির্তকের এক পর্যায়ে বাবুর বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে রুবেল ও পুটনকে আটক করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে বাবু ও পুটনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই ঘটনাস্থল থেকে ছিটকে পড়ে রুবেল। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারীর জন্য হাসপাতালে এবং আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

 

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/এআর)