খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২২, ২৩:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রধান কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অনেক আগে থেকেই জিয়াউর রহমান এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানতেন। তিনি খুনিদের উৎসাহ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের এ বর্বরতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর ঘাতকচক্রকে পুরস্কৃত করেছিলেন। খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন। তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন। নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রধান ইন্ধনদাতা খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে। খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারের মাধ্যমেই কেবল জাতি কলঙ্কমুক্ত হতে পারে।

 

মঙ্গলবার গাজীপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নে  বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি যে সম্ভব নয়, তা অনুধাবন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই তিনি একটি শিক্ষিত জাতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বাধীনতার পর মাত্র তিন বছরের শাসনামলে সম্পূর্ণ ভঙ্গুর একটি  শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি ঢেলে সাজিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, সংবিধানে শিক্ষা বাধ্যতামূলক, কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত করেছেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বৈষম্যহীন ও যুগোপযোগী করার জন্য কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু।

 

তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ, ১১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ৪৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও চাকরি সরকারিকরণ, ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই ও গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোষাক প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ।

 

প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীন দেশে প্রথম যে বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তাতে প্রতিরক্ষা খাতের চেয়ে শিক্ষা খাতে ৭% বরাদ্দ বেশি রেখেছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু জানতেন প্রতিরক্ষা খাতের চেয়ে শিক্ষা খাতের গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি জানতেন প্রতিরক্ষা খাত দিয়ে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া যাবে না, শুধু শিক্ষা দিয়েই দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

 

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/এএইচ)