চকবাজারে ১৯২৪ অবৈধ রাসায়নিক কারখানা, পর্যায়ক্রমে সরানো হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৭ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৫:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে এক হাজার ৯২৪টি অবৈধ রাসায়নিক কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এগুলো এখান থেকে সরানো হবে।’

সেই সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই এলাকা থেকে অন্তত ৫০০ কারখানা, গুদাম স্থানান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘এখানে পুরো যে স্থাপনা সবকিছুই কিন্তু বেআইনিভাবে করা হয়েছে। গ্যাসের সংযোগ থেকে আরম্ভ করে বিনা অনুমতিতে কোনো বাণিজ্যিক লাইসেন্স ছাড়াই এখানে হোটেল পরিচালনা করা হচ্ছে। কারখানা করা হয়েছে। এসব কিছুই কিন্তু বেআইনিভাবে অবৈধভাবে করা হয়েছে। অবৈধভাবে বেআইনিভাবে জনগণ বারবার এই কাজগুলো করছে বলেই কিন্তু বারবার এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ এলাকা থেকে রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদাম স্থানান্তরের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালের পর থেকে আর ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না। কিন্তু তারপরেও এখানে কিন্তু তারা অবৈধভাবে এই কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।’

মেয়র জানান, এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তের আলোকে চিরুনি অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৯২৪টি অবৈধ বেআইনি রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলো স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘সিদ্ধান্ত অনুযায়ি শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে প্রায় ৫০০ গুদামঘর স্থানান্তরের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। সেটা এ বছরে বাস্তবায়ন হবে।’

এ জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এই বেআইনি অবৈধ কার্যক্রম আমাদের বন্ধ করতে হবে। সকলে এগিয়ে না এলে, এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা না গেলে আমরা এই দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পাব বলে আমার মনে হয় না।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘বাণিজ্য অনুমতি নেই, বৈধতা নেই একটা ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি সেখানে কিভাবে কারখানা করেছে? আমরা বাণিজ্য অনুমতি না দেওয়া সত্বেও সে কিভাবে এই গ্যাসের সংযোগ পেল, বিদ্যুতের সংযোগ পেল? এই বিষয়গুলো নিয়ে সকল সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এখানে আইনকে কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। আমরা জানি গ্যাস সংযোগ সারা ঢাকা শহরে অবৈধভাবে পেয়ে থাকে। এটাও খতিয়ে দেখলে হয়তো দেখা যাবে অবৈধভাবে পেয়েছে। এগুলো যদি আরও গভীরভাবে তৃণমূল পর্যায়ে যাচাই বাছাই করা না হয়, কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।’

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে চকবাজারে পলিথিন কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

ওই কারখানার নিচতলায় একটি হোটেল ছিল। দ্বিতীয় তলায় একটি কারখানা রয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় প্লাস্টিকের খেলনা ও পলিথিন তৈরির কারখানা। নিচতলার হোটেলে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/কেআর/এফএ)