শরীয়তপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৬:১২ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৬:২৫

মো. মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আদর করার নামে শিক্ষার্থীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছেন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করলে প্রধান শিক্ষক উল্টা শিক্ষার্থীদের চোখ রাঙানি দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দেওয়া ৫ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রথি কান্ত মিস্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা ও স্কাউট বিষয়ক সহকারী শিক্ষক। সেই সুবাদে তিনি স্কাউটিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।

তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার স্কাউটদের সাপ্তাহিক ট্রুপ মিটিং ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই তিনি সেই মিটিং বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর সেখানে ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।

এই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে জানালে প্রধান শিক্ষক বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়রত সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মহসিন মিয়া বলেন, আমরা এখন যে অভিযোগগুলো শুনেছি তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার মেয়েকে আর এই বিদ্যালয়ে পড়াব না।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক রথি কান্ত মিস্ত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাকে দেখে নেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শ্রী শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, আমি ব্যাপারটি গত কাল শুনেছি। শিক্ষক সাহেব যে কাজটি করেছেন, তা নিতান্তই অন্যায় কাজ করেছেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবো তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমেই আমি ব্যাপারটি জানলাম। আমি খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করে কেউ রেহাই পাবে না।

 

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এআর)